জানুয়ারি ২৬, ২০২১,৮:২৯ অপরাহ্ণ
ভালো নির্বাচন দেখবেন বলে আশা করেন: সচিব (ইসি) সিনিয়র সচিব মোঃ আলমগীর,
মোঃ শহিদুল ইসলাম ( শহিদ)
চিফ রিপোর্টার চট্টগ্রামঃ
চট্টগ্রাম সিটি কর্পোরেশন (চসিক) নির্বাচন সম্পর্কে নির্বাচন কমিশনের (ইসি) সিনিয়র সচিব মো. আলমগীর বলেছেন, আশা করি কালকে একটা ভালো নির্বাচন দেখবেন।
আজ মঙ্গলবার বিকালে আগারগাঁওয়ের নির্বাচন ভবনে নিজ কার্যালয়ে চসিক নির্বাচনের সর্বশেষ সার্বিক পরিস্থিতি নিয়ে সাংবাদিকদের ব্রিফিংকালে এ আশাবাদ ব্যক্ত করেন সচিব।
প্রস্তুতি নিয়ে সচিব বলেন, কমিশন থেকে প্রস্তুতি সম্পন্ন হয়েছে। বিশেষ করে যেহেতু রিটার্নিং কর্মকর্তার কাছে সমস্ত দায়িত্ব ন্যাস্ত করা আছে।
সেখানে আইন-শৃঙ্খলা বাহিনীর লোক, আমাদের রিটার্নিং অফিসার, পোলিং অফিসার এবং যেহেতু ইভিএমে ভোট হচ্ছে, তাই ইভিএমের কারিগরী সহায়তা দেয়ার জন্য সবাই এখন চট্টগ্রামে অবস্থান করছেন। পূর্ণ প্রস্তুতি শেষ। আমরা আশা করি যে, একটা সুষ্ঠু এবং প্রতিযোগিতামূলক শান্তিপূর্ণ নির্বাচন অনুষ্ঠিত হবে। এজন্য যা যা উদ্যোগ নেয়া দরকার তা নেয়া হয়েছে।
রিটার্নিং অফিসার এবং পুলিশ প্রশাসনের পক্ষ থেকে যে পরিমাণ আইন-শৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর চাহিদা দিয়েছে নির্বাচন কমিশনের পক্ষ থেকে সে পরিমাণ অনুমোদন দেয়া হয়েছে এবং তাদের কাছে বাজেটও দেয়া হয়েছে। এছাড়াও প্রতি ওয়ার্ডে একজন করে এক্সিকিউটিভ ম্যাজিস্ট্রেট থাকবেন। কেউ শাস্তিযোগ্য অপরাধ করলে তাকে শাস্তি দিতে প্রতি দুইটি ওয়ার্ডের জন্য একজন করে জুডিশিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট থাকবেন। আমরা মনে করি যে যত রকম নিরাপত্তা ব্যবস্থা নেয়া প্রয়োজন তার সবটুকুই সেখানে নেয়া আছে।
তিনি বলেন, বাইরের লোক যারা ওই এলাকার ভোটার না, ভোটকেন্দ্রে এসে গোণ্ডগোল করতে পারে এরকম কাজ যাতে করতে না পারে এজন্য শহরে প্রবেশ করার যে রাস্তাগুলো আছে সেখানে পুলিশি পাহাড়া থাকবে। যাতে করে ভোটার ছাড়া অন্য কোনো লোকজন ভোটকেন্দ্রে এসে কোনো গণ্ডগোল করতে না পারে। এছাড়া ভোটকেন্দ্রের বাইরেও যাতে আইন-শৃঙ্খলা রক্ষার ক্ষেত্রে কোনো রকম বাধার সৃষ্টি করতে না পারে। আমরা মনে করি, নির্বাচন অত্যন্ত সুষ্ঠু এবং সুন্দরভাবে করার জন্য যা যা করার দরকার তার সব ধরনের ব্যবস্থা নির্বাচন কমিশন গ্রহণ করেছে।
সহিংসতার বিষয়ে সাংবাদিকদের এক প্রশ্নের জবাবে তিনি বলেন, এটা প্রথম দিকে হয়েছিল।
তারপর সেখানে সবাই খুব সতর্ক হয়ে গেছেন। এরপর আল্লাহর রহমতে আর কোনো ঘটনা ঘটেনি। আমরা আশা করি ওই ধরনের কোনো ঘটনা আর ঘটবে না। যাতে না ঘটে তার জন্য ওই প্রস্তুতি। আমাদের আইন-শৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর ১০ হাজারের উপরে সেখানে নিয়োজিত আছে। ওই ধরনের আর কোনো ঘটনা ঘটবে না বলেই আমরা মনে করি।
ঝুঁকিপূর্ণ কেন্দ্র কতগুলো জানতে চাইলে তিনি বলেন, এটা তো আপনাদের বলা যাবে না। ঝুঁকিপূর্ণ কেন্দ্র কতগুলো এটা তো গোপনীয় জিনিস।
জুডিশিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট ২০ জন এবং এক্সিকিউটিভ ম্যাজিস্ট্রেট ৪০ জন নিয়োগ দেয়া হয়েছে বলেও জানান সচিব।
করোনা পরিস্থিতিতে ভোটে নির্দেশনা সম্পর্কে তিনি বলেন, আমাদের বলাই আছে স্বাস্থ্যবিধি যা মেনে চলা দরকার তার সব মেনে চলার নির্দেশনা দেয়া আছে। ভোটার যখন লাইনে দাঁড়াবেন তখন সামাজিক দূরত্ব বজায় রেখে দাঁড়াবেন। ইভিএমে ভোট দেয়া হবে তাই ভোট দেয়ার আগে এবং পরে হাত হ্যান্ডওয়াস করে নেবেন। আর সবাইকে মাস্ক পড়ে যেতে হবে। মাস্ক ছাড়া কেউ গেলে তাকে ভোট দিতে দেয়া হবে না বা দায়িত্ব-পালন করতে দেয়া হবে না।
নির্বাচনে সহিংসতা এবং অনিয়মের দায় কমিশন এড়াতে পারে না একজন নির্বাচন কমিশনারের এমন বক্তব্যের বিষয়ে তিনি বলেন, এটা মাননীয় কমিশনারই বলতে পারবেন। আমার কোনো বক্তব্য নেই।
আপনারা আশা করছেন সুষ্ঠু নির্বাচন হবে। সাংবাদিকরা জানতে চাইলে তিনি বলেন, অবশ্যই। আশা না করার কোনো কারণ নেই তো।
Site Developed By: Md. Shohag Hossain