নভেম্বর ২৩, ২০১৫,৭:২৭ অপরাহ্ণ
বাগেরহাটের মোরেলগঞ্জ উপজেলার ১৭৯ নং খালকুলিয়া পল্লীমঙ্গল সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের শিক্ষার্থীরা খোলা আকাশের নিচে ক্লাশ করছে। অবকাঠামোগত ঝুঁকি ও আসবাবপত্রের চরম সংকটের কারনে ব্যাহত হচ্ছে শিক্ষাকার্যক্রম। ঝুঁকির কারনে শিক্ষার্থীদের রোদে পুড়ে বৃষ্টিতে ভিজে ক্লাশ করতে হচ্ছে খোলা মাঠে ।
১৯৭০ সালে উপজেলার দৈবজ্ঞহাটী ইউনিয়নে প্রতিষ্ঠিত এ বিদ্যালয়টি ১৯৯৫ সালে পূনঃনির্মাণ করা হয়। এতে ব্যায় হয় ৪ লক্ষ ২০ হাজার টাকা। ২১ বছর পূর্বে নির্মিত এ বিদ্যালয়টি এখন পরিনত হয়েছে মরণ ফাঁদে । যে কোন মুহুর্তে ভেঙ্গে পড়ে ঘটতে পারে বড় ধরনের কোন দূর্ঘটনা। প্রতিনিয়ত আতঙ্কের মধ্যে থাকতে হয় শিক্ষক ও শিক্ষার্থীদের। শিশু সন্তানদের বিদ্যালয়ে পাঠিয়ে নিশ্চিন্তে থাকতে পরছেননা অভিভাবকরা। আকাশে মেঘ বৃষ্টি দেখা দিলেই ভেঙ্গে পড়ার ভয়ে অভিভাবকরা বিদ্যালয়ে ছুটে যান তাদের শিশুদের বাড়ি নিয়ে যেতে। তাছাড়া রয়েছে ভূমিকম্পের আতঙ্ক । ছাদের সেল্টার গ্রেড ভিমেই ফাটল, নেই দরজা-জানালা । নেই প্রয়োজনীয় বেঞ্চ, চেয়ার, টেবিল । প্রতিটি পিলারের পলেস্তরা খসে খসে পড়ে রড দৃশ্যমান। প্রতিনিয়ত ঝরে পড়ছে ক্লাশ রুমের পলেস্তরা। বিদ্যালয়ের এ বিপদজ্জনক অবস্থার কারনে নতুন বছরে অন্যত্র ভর্তি হবে বলে জানায়, চতুর্থ শ্রেণীর ছাত্রী সুমাইয়া আকতার ও তুলি আকতার ।
বিদ্যালয়ের ম্যানেজিং কমিটির সভাপতি অধ্যাপক এসএম মনিরুজ্জামান, সহ-সভাপতি মহিদুল ইসলাম আঙ্গুর জানান, বিদ্যালয়ের অবকাঠামো খুবই নাজুক। দূর্ঘটনার ভয়ে অভিভাবকরা তাদের সন্তানদের বিদ্যালয় পাঠাতে চায়না। ফলে প্রতিনিয়ত ছাত্র-ছাত্রী সংখ্যা হ্রাস পাচ্ছে। প্রধান শিক্ষিকা মাহামুদা খানম জানান, ৭ বছর ধরে বিদ্যালয়টির এ ভগ্নদশা। সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষকে একাধিকবার লিখিতভাবে অবহিত করা হয়েছে। অভিভাবক ফাতেমা বেগম ও মনিরুজ্জামান ক্ষোভের সাথে জানান, পার্শ্ববর্তী একটি সরকারি বিদ্যালয়ে সাইক্লোন সেল্টার কাম বিদ্যালয় থাকলেও পরিত্যক্ত ভবনের জন্য আবারো বরাদ্ধ হয়। অথচ এ বিদ্যালয়ের দিকে কর্তৃপক্ষের কোন নজর নেই। ওই গ্রামে এইএকটাই প্রাথমিক বিদ্যালয়। তাছাড়া এ গ্রামে নেই কোন সাইক্লোন সেল্টার। তাই বিদ্যালয়টি সাইক্লোন সেল্টার কাম বিদ্যালয় হলে ছাত্র-ছাত্রীদের ক্লাশসহ বন্যায় আশ্রয় কেন্দ্র হিসেবে ব্যবহারের কাজে আসবে বলে জানায় এলাকাবাসি।
Site Developed By: Md. Shohag Hossain