ফেব্রুয়ারি ২৪, ২০১৭,৪:১৫ অপরাহ্ণ
খেলাধুলা ডেস্ক : আইপিএলের দশম সংস্করণের নিলামে কোটি কোটি রুপি খরচ করে ক্রিকেটার কিনল ফ্র্যাঞ্চাইজিরা। কেউ ছুটল বড় নামের পেছনে। কেউ বাজি রাখল উঠতি প্রতিভাদের ওপর। আইপিএলে কিন্তু এরকম একাধিক নজির রয়েছে, যেখানে প্রচুর টাকা দিয়ে কেনা ক্রিকেটাররা মুখ থুবড়ে পড়েছেন। বাধ্য হয়ে পরের মৌসুমে তাদের ছেড়ে দিয়েছে ফ্র্যাঞ্চাইজিরা।
একনজরে দেখে নেয়া যাক বিপুল অংকে নিলাম থেকে কেনা তেমনই কিছু ফ্লপ তারকাকে-
অ্যান্ড্র– ফ্লিনটফ
আরসিবি থেকে সেই ২০০৯ সালে প্রায় ১৬ লাখ ডলারে চেন্নাই সুপার কিংসে এসেছিলেন ইংল্যান্ডের এই বিখ্যাত অলরাউন্ডার। চেন্নাইয়ের হয়ে খেলেছিলেন মাত্র তিনটি ম্যাচ। অবদান ছিল ৬২ রান এবং তিন উইকেট। এর পরেই চোটের জন্য ছিটকে যান।
রবিন উথাপ্পা
২০১১ সালে কর্নাটকের এই ব্যাটসম্যানকে ২১ লাখ ডলারে কিনে সবাইকে চমকে দেয় পুনে ওয়ারিয়র্স। ১৫ ম্যাচে মাত্র ১৭৫ রান করেন উথাপ্পা।
ড্যানিয়েল ক্রিশ্চিয়ান
অস্ট্রেলিয়ার জাতীয় দলের হয়ে হাতেগোনা কিছু ম্যাচ খেলা এই অলরাউন্ডারকে নয় লাখ ডলারে কেনে ডেকান চার্জার্স। দু’বছর ডেকানে ছিলেন ক্রিশ্চিয়ান। ২১ ম্যাচে ১৯ উইকেট এবং ৩৩৫ রান করেছিলেন। সাদামাটা পারফরম্যান্সে হতাশ হয়েছিল ডেকান সমর্থকরা।
সৌরভ তিওয়ারি
২০১০ সালে মুম্বাই ইন্ডিয়ান্সের হয়ে অসাধারণ খেলা তিওয়ারিকে ১৬ লাখ ডলারে দলে নিতে দ্বিতীয়বার ভাবেনি বাঙ্গালোর। কিন্তু তাকে নেয়া যে কত বড় ক্ষতি, তা মৌসুমের শেষে বুঝেছিল আরসিবি। দল ফাইনালে উঠলেও ১৬ ম্যাচে মাত্র ১৮৭ রান করেন তিওয়ারি। ছিল না একটি হাফ সেঞ্চুরিও।
অভিষেক নায়ার
আইপিএলের ইতিহাসে অন্যতম সেরা ফ্লপ মুম্বাইয়ের এই অলরাউন্ডার। প্রায় সাত লাখ ডলারে কেনা এই অলরাউন্ডার পুনের হয়ে নয় ইনিংসে ৬৬ রান করেন। উইকেট পান মাত্র দুটি।
দিনেশ কার্তিক
২০১৪ সালের নিলামে দিনেশ কার্তিককে প্রায় সাড়ে বারো কোটি রুপিতে কেনে দিল্লি ডেয়ারডেভিলস। ১৪ ম্যাচে মাত্র ৩২৫ রান করেন কার্তিক। লীগের শেষ দল হিসেবে টুর্নামেন্ট শেষ করে দিল্লি।
ইরফান পাঠান
২০১১ সালে ১১ কোটি রুপি দিয়ে এই অলরাউন্ডারকে কেনে দিল্লি। তিন বছর দিল্লির হয়ে খেলে ৪৭ ম্যাচে মাত্র ৪৬৮ রান করেন ইরফান। নেন ২৯ উইকেট। হতাশাজনক পারফরম্যান্সের পর তাকে ছেড়ে দেয় দিল্লি।
রবীন্দ্র জাদেজা
এ মুহূর্তে ভারতীয় দলের অন্যতম সেরা অলরাউন্ডারকে ২০১২ সালে প্রায় সাড়ে বারো কোটি রুপিতে কেনে চেন্নাই। মৌসুমে মাত্র ১৯১ রান করেন জাদেজা। নেন ১২ উইকেট।
মুরালি বিজয়
চেন্নাইয়ের হয়ে ২০১৩ সালে দুর্দান্ত খেলা এই ওপেনারকে পাঁচ কোটি রুপিতে কেনে দিল্লি। ১১ ম্যাচে মাত্র ২০৭ রান করেন বিজয়।
অ্যাঞ্জেলো ম্যাথিউস
পুনের আর এক ফ্লপ তারকা শ্রীলংকার এই অলরাউন্ডার। ছয় কোটি রুপি দামি এই অলরাউন্ডার ২০ ম্যাচে ২৯৯ রান করেন। উইকেট নেন ১২টি।
পবন নেগি
আইপিএল নয়ে সবাইকে চমকে প্রায় সাড়ে আট কোটি রুপি দিয়ে চেন্নাইয়ের এই সাবেক অলরাউন্ডারকে কেনে দিল্লি। আট ম্যাচে মাত্র ৫৭ রান করেন নেগি।
মুরুগান অশ্বিন
এই অনামি স্পিনারকে সাড়ে চার কোটি রুপিতে কেনে রাইজিং পুনে সুপারজায়ান্টস। মৌসুমে মাত্র সাত উইকেট নেন অশ্বিন।
দীপক হুড়া
রাজস্থানের হয়ে আইপিএলে দুর্দান্ত খেলা হুড়াকে সাড়ে চার কোটি রুপি দিয়ে কেনে সানরাইজার্স হায়দরাবাদ। ১৭ ম্যাচে মাত্র ১৪৪ রান করেন হুড়া।
স্টুয়ার্ট বিনি
আইপিএলে পরিচিত নাম স্টুয়ার্ট বিনি। ২০১৬ সালে নিলামে দুই কোটি রুপি দিয়ে স্টুয়ার্ট বিনিকে ঘরে তোলে রয়্যাল চ্যালেঞ্জার্স বাঙ্গালোর। কিন্তু ডাহা ফেল করেন এই অলরাউন্ডার। ১৪ ম্যাচে তার রান মাত্র ৬৩। একটি মাত্র উইকেট পেয়েছিলেন।
কাইল অ্যাবট
দক্ষিণ আফ্রিকান অলরাউন্ডার কাইল অ্যাবট গত বছর বিক্রি হয়েছিলেন ২ কোটি ১০ লাখ রুপিতে। ৩০ লাখ রুপির বেস প্রাইজের এই ক্রিকেটারকে কোটি টাকায় কেনে পাঞ্জাব। গোটা টুর্নামেন্টে বেশিরভাগ ম্যাচই রিজার্ভ বেঞ্চে কাটিয়েছেন। মাত্র পাঁচ ম্যাচ খেলেছিলেন ২০১৬-র আইপিএলে। সুযোগ কাজে লাগাতে পারেনি অ্যাবট। রান মাত্র ১৩। উইকেট নেন দুটি।
যুবরাজ সিংহ
বাইশ গজে যুবরাজের ব্যাট কথা বললে বাকিরা নিশ্চুপ থাকেন। ওয়ানডে বা টি ২০ যে কোনো ফরম্যাটেই। ২০১৫ সালে যুবরাজকে ১৬ কোটি রুপি রেকর্ড দামে কেনে দিল্লি ডেয়ারডেভিলস।
কিন্তু প্রত্যাশিত পারফরম্যান্স দেখাতে পারেননি তিনি। সেই বছর ব্যাটিং গড় ছিল মাত্র ১৯.০৭। গত বছর সানরাইজার্স হায়দরাবাদ চ্যাম্পিয়ন হলেও যুবরাজের ব্যাটিং ছিল সাদামাটা। ওয়েবসাইট
Site Developed By: Md. Shohag Hossain