আজ শনিবার,৪ঠা মে, ২০২৪ ইং, ২১শে বৈশাখ, ১৪৩১ বঙ্গাব্দ, ২৫শে শাওয়াল, ১৪৪৫ হিজরী
>> দুমকীতে খাল সংস্কার প্রকল্পে অনিয়মসহ শত শতগাছ উপড়ে ফেলার অভিযোগ।bdnewstv24.com >> আন্তর্জাতিক মে দিবস পালন করেন নারায়ণগঞ্জ জেলা প্রাসাদ নির্মাণ শ্রমিক ইউনিয়.bdnewstv24.com >> গজারিয়ায় দুই ইউনিয়নে চেয়ারম্যান প্রার্থী আমিরুল ইসলাম এর পক্ষে গনসংযোগ এবং লিফলেট বিতরন। bdnewstv24.com >> বেলখাইন স্পোটিং ক্লাবের অলনাইট ফুটবল টুর্নামেন্টের সেমিফাইনাল সম্পন্ন.bdnewstv24.com >> গজারিয়ায় উপজেলা পরিষদ নির্বাচনে মনোনয়ন ফরম জমা দিলেন আমিরুল ইসলাম.bdnewstv24.com >> বাকেরগঞ্জ জেলা পুনরুদ্ধারের দাবিতে মানববন্ধন. bdnewstv24.com >> বাকেরগঞ্জের বেদে পল্লীতে ইউএনও এর ঈদ উপহার প্রদান। bdnewstv24.com >> গজারিয়ায় চিপস খেয়ে গলায় আটকে শিশুর মৃত্যু. bdnewstv24.com >> বগুড়ায় সাংবাদিকদের মাঝে বাংলাদেশ সাংবাদিক জোট (বাসাজ) এর ঈদ সামগ্রী বিতরণ.bdnewstv24.com >> মতলব উত্তরে ছেংগারচর পৌরসভায় প্রধানমন্ত্রীর ঈদ উপহার বিতরণ। bdnewstv24.com     

ক্ষতিকর ব্যাটারিচালিত অটোরিকশায় রাজস্ব হারাচ্ছে সরকার

সেপ্টেম্বর ৯, ২০১৯,৯:৩৫ অপরাহ্ণ

 
Spread the love

রিয়াদুল ইসলাম (আফজাল), বিডিনিউজটিভি২৪ডটকম : দেশজুড়ে দাপিয়ে বেড়াচ্ছে বিভিন্ন ধরনের লাখ লাখ ব্যাটারিচালিত অটোরিকশা। অপরিকল্পিত ও কোনো ধরনের নিয়মনীতি ছাড়াই চলছে এসব যান। এসব যানের ব্যাটারির লিড অ্যাসিড একদিকে যেমন পরিবেশের জন্য মারাত্মক ক্ষতিকর, অন্যদিকে ব্যাটারিচালিত এই গাড়িগুলোর রিচার্জকালে জাতীয় গ্রিড থেকে প্রচুর পরিমাণে বিদ্যুৎ অবৈধভাবে ব্যবহার হচ্ছে। অনেক আগেই সরকার ব্যাটারচালিত ওসব গাড়ি আমদানি নিষিদ্ধ করেছে। কিন্তু তারপরও অনেক অসাধু ব্যবসায়ী খুচরা যন্ত্রাংশের নামে অবৈধভাবে ওসব গাড়ি আমদানি করছে। ফলে ওই খাতে বিপুল রাজস্ব হারাচ্ছে সরকার। প্রকৌশল বিশ^বিদ্যালয় এবং বিআরটিএ সংশ্লিষ্ট সূত্রে এসব তথ্য জানা যায়।
সংশ্লিষ্ট সূত্র মতে, দেশে চলমান ব্যাটারিচালিত গাড়িগুলোর রিচার্জকালে জাতীয় গ্রিড থেকে প্রচুর পরিমাণে বিদ্যুৎ অবৈধভাবে ব্যবহার হচ্ছে। পাশাপাশি অবৈধ ও অনিরাপদ লাইনের মাধ্যমে ব্যাটারি রিচার্জকালে প্রায়ই বিভিন্ন ধরনের বৈদ্যুতিক দুর্ঘটনা ঘটছে এবং নিত্যনৈমিত্তিকভাবে বিদ্যুিবভ্রাট ঘটছে। ফলে সরকারের বিদ্যুৎক্ষত্রের সাফল্য অদৃশ্যই থেকে যাচ্ছে। পাশাপাশি ব্যাটারিচালিত এই গাড়িগুলো কোনো স্বীকৃত প্রতিষ্ঠানের সুপারিশকৃত বা প্রত্যাশিতভাবে প্রস্তুত নয়। উপরন্তু বাংলাদেশ সরকারের কোনো প্রতিষ্ঠান যেমন- প্রকৌশল বিশ্ববিদ্যালয় ও বিআরটিএ কর্তৃক পরীক্ষিত ও অনুমোদিত নয়।
সূত্র জানায়, বেশির ভাগ ক্ষেত্রেই ব্যাটারিচালিত গাড়িগুলোর ড্রাইভারদের কোনো ধরনের প্রশিক্ষণ ও ড্রাইভিং লাইসেন্স নেই। অনিরাপদ এই গাড়িগুলোতে কোনো ধরনের নিরাপত্তার ব্যবস্থা না থাকায় যাত্রীদের জীবনের ঝুঁকি নিয়ে প্রতিনিয়ত চলাচল করতে হয়। পাশাপাশি ব্যবহার শেষে ব্যাটারিগুলো যত্রতত্র ফেলে দেওয়া হয়, যা পরিবেশ ও মানবজীবনের ওপর মারাত্মক প্রভাব বিস্তার করছে। কিন্তু সড়কগুলোতে ব্যাটারিচালিত এই গাড়িগুলোর চলাচল ও দৌরাত্ম্য কোনোভাবেই কমছে না।
সূত্র আরো জানায়, স্বল্প দূরত্বে সব ধরনের ভ্রমণের জন্য সিএনজি-ডিজেলচালিত থ্রিহুইলার অটোরিকশা শহর কিংবা গ্রামে ব্যাপক জনপ্রিয়। বৈধভাবে আমদানিকৃত এই গাড়িগুলো সরকারের রাজস্ব খাতে প্রতিবছর গাড়িপ্রতি আনুমানিক এক লাখ ৫২ হাজার ৫০০ টাকা হারে আমদানি ও অন্যান্য শুল্ক পরিশোধ করে আসছে। ওই সঙ্গে গাড়ি রেজিস্ট্রেশনকালে প্রতিটি গাড়ির বিপরীতে রেজিস্ট্রেশন ১২ হাজার ১০১ টাকা ও রুট পারমিট বাবদ এক হাজার ১০৪ টাকা হারে জমা করে আসছে। অর্থাৎ প্রতিটি গাড়ির বিপরীতে সর্বসাকুল্যে প্রায় এক লাখ ৬৫ হাজার ৭০৫ টাকা হারে সরকারি রাজস্ব খাতে জমা হচ্ছে। কিন্তু ব্যাটারিচালিত গাড়িগুলো থেকে সরকার কোনো রাজস্ব পাচ্ছে না।
এদিকে সরকারের কাছে এ খাতের উদ্যোক্তারা ইলেকট্রিক গাড়ির যে নীতিমালা প্রণয়নের কাজ শুরু করেছে, তাতে অবশ্যই দেশে লিথিয়াম ব্যাটারিচালিত পরিবেশবান্ধব থ্রিহুইলার উৎপাদনের সুযোগ দেয়ার দাবি জানিয়েছে। সারা পৃথিবীতে আগে ব্যাটারি রিসাইকেল নীতিমালা হয়েছে, তারপর ব্যাটারিচালিত গাড়ি উৎপাদন নীতিমালা হয়েছে। কিন্তু এ দেশে ভিন্ন চিত্র। কারণ দেশে পরিবেশের জন্য মারাত্মক ক্ষতিকারক সনাতনি লিড এসিডের ব্যাটারিরিসাইকেল সেন্টার নেই। তারপরও ব্যাটারিচালিত ইলেকট্রিক ভেহিকল নামে এই নিষিদ্ধ যানকে বৈধতা দেওয়ার চেষ্টা চলছে, যা কোনোভাবেই গ্রহণযোগ্য নয়। বর্তমানে দেশে পরিবেশবান্ধব সিএনজি চালু আছে। তবে বর্তমানে রেজিস্ট্রেশন বন্ধ রাখা হয়েছে।
অন্যদিকে বিশেষজ্ঞদের মতে, বর্তমান লিড অ্যাসিড ব্যাটারিচালিত বিপজ্জনক গাড়িগুলো অবিলম্বে রাস্তায় চলাচল নিষিদ্ধ করা জরুরি। পাশাপাশি পরিবেশবান্ধব লিথিয়াম ব্যাটারি ব্যবহৃত বিদ্যুৎচালিত (ইলেকট্রিক) থ্রিহুইলার অটোরিকশার সুনির্দিষ্ট নীতিমালার আলোকে অনুমোদন দেয়া যেতে পারে। সেক্ষেত্রে প্রকৌশল বিশ্ববিদ্যালয় থেকে সব ধরনের নিরাপত্তাবিষয়ক পরীক্ষা-নিরীক্ষা করে বিআরটিএ কর্তৃক টাইপ অনুমোদনসহ আনুষঙ্গিক প্রক্রিয়া সম্পন্নপূর্বক চলাচলের অনুমতি প্রদান করে গণপরিবহনে শৃঙ্খলা ফিরিয়ে আনা প্রয়োজন।
এ প্রসঙ্গে বাংলাদেশ রোড ট্রান্সপোর্ট অথরিটির (বিআরটিএ) পরিচালক (প্রকৌশল) লোকমান হোসেন মোল্লা জানান, নীতিমালার আলোকে এবং মন্ত্রণালয়ের সিদ্ধান্ত অনুযায়ী সিএনজি অটোরিকশা নিবন্ধনের অনুমতি দেয়া হয়। তার বাইরে অতিরিক্ত অটোরিকশ নামানো যায় না।

 

Chairman

Md. Riadul Islam (Afzal)
Chairman
www.bdnewstv24.com
 

সর্বশেষ সংবাদ

 

সারাবাংলা

 

 

Site Developed By: Md. Shohag Hossain