ফেব্রুয়ারি ৩, ২০১৮,১২:৪৭ অপরাহ্ণ
বিডি নিউজ টিভি ২৪ ডট কমঃ ঢাকা: ৯৬ সালে নির্বাচনকালীন সহায়ক সরকারের দাবিতে আওয়ামী লীগ আন্দোলনের নামে গাড়ি পুড়িয়েছিল বলে মন্তব্য করেছেন বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য খন্দকার মোশাররফ হোসেন।
রোববার বেলা সাড়ে ১২ টার দিকে জাতীয় প্রেস ক্লাবে বাংলাদেশ গণতান্ত্রিক সাংস্কৃতিক জোট আয়োজিত এক গোলটেবিল বৈঠকে তিনি এ কথা বলেন।
খন্দকার মোশাররফ বলেন, ৯৬ সালে আওয়ামী লীগ বলেছিল সরকারি দলের অধীনে নির্বাচন সুষ্ঠু হবে না। নির্বাচন সহায়ক সরকারের অধীনেই হতে হবে। এই সহায়ক বা তত্ত্ববাধয়ক সরকারের দাবিতে তারা গাড়ি পুড়িয়েছিল। এখন সেই আওয়ামী লীগই বলছে সহায়ক সরকার বলতে কিছু নেই।
তিনি বলেন, সংবিধান জনগণের জন্য, জনগণ সংবিধানের জন্য নয়।
তিনি আরো বলেন, দেশে বর্তমানে কোন সরকার নেই। ২০১৪ সালের ৫ জানুয়ারি ভোটারবিহীন নির্বাচনের মাধ্যমে বর্তমানে যারা ক্ষমতায় রয়েছে তারা জনগণের সরকার নয়। আর সেই জন্যই বর্তমানে জনগণ সবচেয়ে বেশি দুর্দশা ও কষ্টের মধ্যে রয়েছে।
মোশাররফ বলেন, একাদশ নির্বাচনকে সামনে রেখে সরকার প্রশাসনকে নিজের মত করে সাজাচ্ছে। নির্বাচন কমিশনারের অজান্তে মাঠ পর্যায়ে রদবদল এবং সর্বশেষ কমিশনের সচিব পদে পরিবর্তন করা হয়েছে। এতে প্রমাণিত হয় ইসির রোডম্যাপ বর্তমান সরকারকে আবারো অবৈধভাবে ক্ষমতায় নিয়ে যাওয়ার প্রয়াস মাত্র।
তিনি বলেন, ৭ কলেজের আন্দোলনরত শিক্ষার্থীদের ওপর পুলিশী হামলা ও নির্দয়ভাবে গুলি করা হয়েছে। এরপর ১২ শত শিক্ষার্থীর বিরুদ্ধে হত্যা মামলা দায়ের করেছে। পুলিশের কাদানি গ্যাসের টিয়ারসেলে তিতুমীর কলেজের ছাত্র মো. সিদ্দিকুর রহমানের দুই চোখের মনি নষ্ট হয়ে গেছে। অন্ধ হয়ে যাওয়ার এই দায় কে নেবে ?
মোশাররফ আরো বলেন, এই সরকারের রিজার্ভ চুরির মত ঘটনা ঘটেছে। যা বিশ্বের কোথাও আগে ঘটেনি।
তিনি বলেন, নির্বাচনের আগে সরকার বলেছিল ১০ টাকা দামে চাল দেবে। এখন মোটা চালের কেজি ৫০ টাকা। বিএনপির আমলে বিদ্যুতের ইউনিট ছিল ২.৮০ টাকা যা এই সরকারের আমলে বেড়ে ৮.৫০টাকাই দাঁড়িয়েছে।
তিনি আরো বলেন, পত্রিকায় দেখলাম তারা দোতালা বিল্ডিং বানিয়ে ফেলেছে রড ছাড়া। ইতিপূর্বে রডের পরিবর্তে বাঁশের ব্যবহার আমরা দেখেছি। জাতি নৈতিকভাবে কত অবক্ষয় হলে কলেজ যেখানে ছাত্র-ছাত্রীরা লেখাপড়া করবে সেখানে রড ছাড়া দুইতালা বিল্ডিং বানানো হয়। যেকোনো সময় এটা ধসে পড়ে শত শত ছাত্র-ছাত্রী মারা যাবে।আলোচনা সভায় অন্যান্যদের মধ্যে বক্তব্য রাখেন বিএনপির ভাইস চেয়ারম্যান শামসুজ্জামান দুদু, এড. আহমেদ আজম খান, বিএনপি চেয়ারপার্সনের উপদেষ্টা অধ্যাপক ড. সুকমল বড়–য়া প্রমুখ।
Site Developed By: Md. Shohag Hossain