জানুয়ারি ১৮, ২০১৮,১২:৫৪ পূর্বাহ্ণ
বিডি নিউজ টিভি ২৪ ডট কম: চট্টগ্রাম: ডাক নাম সাজু- পুরো নাম মোঃ সাহিদুল ইসলাম সাজু শেখ। পিতা- মৃত আবদুল কুদ্দুছ শেখ, সাং- পটিয়া নাকাই হাট, থানা- গোবিন্দগঞ্জ, জেলা- গাইবান্ধা। মুখে মিষ্টি হাসি- জানা আছে তার নানা কৌশল। সেই কৌশলে টাগেট পূরণ করে। আর তাই কৌশলের কাছে ধরা দেয় একে একে আমি সহ আট নারী। প্রত্যেককেই তিনি বিয়ে করেছেন। এভাবে বিয়েকে নেশা হিসেবে বেছে নিয়েছেন। আর তার পেশা মাদক, নারী ও সুদের ব্যবসা এমনটাই জানিয়েছেন তার নবম স্ত্রী মোছাম্মৎ জুলেখা বেগম। তার কথায়; ও একজন প্রতারক, তার দুহাতে ও শরীরে থাকে দামী দামী স্বর্ণের গয়না। ব্যবহার করে চারটি দামী মোবাইল ফোন। বয়স্ক হলেও যুবকদের মতই শাট, প্যান্ট পরিধান করে চলাফেরা করে। প্রতিদিনই নতুন নতুন পোশাক পরিধান করে। মাদকের ব্যবসা, নারী ব্যবসা এবং সুদের ব্যবসায় টাকা বানিয়েছেন। তিনি আরো বলেন; বিয়ের আগে সাজু তার আগের বিয়ের তথ্য গোপন রাখে। মিষ্টি কথা শুনে ওর চরিত্র সম্পর্কে ধারণা করা কঠিন। বিয়ের পর তার চারিত্রিক বৈশিষ্ট্য বের হতে শুরু করে। প্রতিরাতেই সাজু অন্য নারীকে নিয়ে বাসায় আসত এবং সবাইকে আত্মীয় বলে পরিচয় দিতেন। প্রতিবাদ করলে মারধর করত। এই কারণে কলোনীর বাসিন্দারাও তার উপর ক্ষুদ্ধ ছিল। সাজু বর্তমানে সিইপিজেড এর একটি গার্মেন্টস্ এ পোশাক শ্রমিক হিসেবে কর্মরত রয়েছেন কিন্তু এর আড়ালে তার মাদকের ব্যবসা, দেহ ব্যবসা ও সুদের ব্যবসা রয়েছে বলেও দাবী করেন তার নবম স্ত্রী জুলেখা বেগম। সাজুর বিয়ের ফিরিস্তি দেন জুলেখা বলেন; সাজু প্রথম বিয়ে করেছিল গাইবাদ্ধায়, দ্বিতীয় বিয়ে করেন নারায়ণগঞ্জে, ঐ ঘরে তার দুটি মেয়ে সন্তান রয়েছেÑ এ ঘটনা জানতে পেরে তার প্রথম স্ত্রী তাকে তালাক দেন। তৃতীয় বিয়ে করেন বাগেরহাটের দেপাড়ায়, ঐ ঘরে তার একটি ছেলে সন্তান রয়েছে- চতুর্থ বিয়ে করেন খুলনা মহানগরীর লবণচুড়া এলাকায়, পঞ্চম বিয়ে করেন রংপুরে, ষষ্ঠ বিয়ে করেন নোয়াখালীতে- তার সপ্তম স্ত্রী এখন ভারতে অবস্থান করছেন এবং অষ্টম বিয়েটিও করেন গাইবান্ধায়। এভাবে একের পর এক প্রতারণার মাধ্যমে বিয়ে করে সে। এক সময় আমার সঙ্গেও তার বিয়ে হয়। তখন ঘুনাক্ষরেও জানতাম না আমি তার নবম স্ত্রী, সে আমাকে ফেলে রেখে এখন দশম বিয়ে করার প্রস্তুতি নিচ্ছেন। সে আমার কাছ থেকে এ পর্যন্ত প্রায় ৫ লক্ষ টাকা আত্মসাৎ করেছে। পাশাপাশি প্রতিদিন আমাকে ও আমার বড় ছেলেকে হত্যার হুমকি দিচ্ছে। অনুসন্ধানে বেরিয়ে আসে আরেকটি চাঞ্চল্যকর তথ্যÑ সাজু ও জুলেখা ২০১৩ ইং সনের ৭ই নভেম্বর চট্টগ্রাম নোটারী পাবলিকের কার্যালয়ে একটি হলফনামার মাধ্যমে তাদের বিবাহ সম্পন্ন করেন। ঐ হলফনামায় চট্টগ্রাম আদালতের এডভোকেট ও নোটারী পাবলিক এম. আনোয়ার চৌধুরীর স্বাক্ষর রয়েছে। এ বিষয়ে জানতে এম. আনোয়ার চৌধুরীর সাথে মুঠোফোনে যোগাযোগ করা হলে তিনি বলেন; ২০১৩ ইং সালে আমি এই নামে কোন বিয়ের নোটারী পাবলিক করিনি। তারা আমার স্বাক্ষর ও সীল মোহর জাল করে এ কাজটি করেছে। আমি খুব শীঘ্রই এ প্রতারক চক্রের বিরুদ্ধে আইনানুগ ব্যবস্থা গ্রহণ করব। এ বিষয়ে আরো জানতে সাজু এর মুঠোফোনে যোগাযোগ করা হলে তিনি প্রতিবেদককে এ বিষয়ে কোন প্রতিবেদন করতে নিষেধ করেন এবং আরো বলেন যদি পত্রিকায় তার বিয়ে ব্যবসা নিয়ে প্রতিবেদন করা হয় তাহলে প্রতিবেদককে গুম করে ফেলা হবে মর্মে হুমকিও দেন। এভাবে প্রতিনিয়ত বিভিন্ন আইনজীবি ও নোটারী পাবলিকের সীল স্বাক্ষর জাল করে সাজু তার অবৈধ বিয়ের কার্যক্রম চালিয়ে যাচ্ছে এবং তাকে আশ্রয় প্রশ্রয় দিচ্ছে এলাকার বেশ কিছু প্রভাবশালী মহল। এ বিষয়ে তার এলাকাবাসীর সাথে কথা বললে তারা জানান; সাজু অত্যন্ত একটি খারাপ চরিত্রের মানুষ। সে এর পূর্বেও বহুবার জেল খেটেছে। সে প্রায়শই বিভিন্ন মেয়েদেরকে ভুলিয়ে ভালিয়ে তার বাসায় নিয়ে জোর পূর্বক ধর্ষণ করে। আমরা তার কঠিন বিচার চাই। যাতে করে আর কোন মেয়ে এই সাজুর প্রতারণার বলি না হয়।
Site Developed By: Md. Shohag Hossain