ডিসেম্বর ২১, ২০১৭,৯:২২ অপরাহ্ণ
বিডি নিউজ টিভি ২৪ ডট কম: মোঃ রিয়াদুল ইসলাম: ঢাকা: বাংলাদেশের ব্যবসায়ি সংগঠনগুলো খুবই শক্তিশালী। পণ্যের মূল্যের ঊর্ধগতি নিয়ে ব্যবসায়ীদের বেশি চাপ প্রয়োগ করলে তারা পণ্য বিক্রি করাই বন্ধ করে দেবে তখন সমস্যা আরো বাড়বে। এই সরল স্বীকারোক্তি করেছেন বাণিজ্যমন্ত্রী তোফায়েল আহমেদ।
বৃহস্পতিবার সচিবালয়ে তার দফতরে বাংলাদেশে সফররত ভারতের আসাম রাজ্যের অর্থমন্ত্রী হিমন্ত বিশ্ব শর্মা এবং গণপূর্তমন্ত্রী পরিমল সুকলা বাইদাসহ আট সদস্যের প্রতিনিধি দলের সাথে বৈঠক শেষে সাংবাদিকদের বাণিজ্যমন্ত্রী একথা বলেন।
তিনি বলেন, অনেক সময় না বুঝে অনেক গণমাধ্যম ভুল তথ্য দিয়ে নিউজ প্রকাশ করে ফলে বাজার আরো অস্থিতিশীল হয়ে যায়। অধিকাংশ পণ্যের দাম কম থাকা সত্ত্বেও একটা পণ্য বিশেষ করে পেঁয়াজের দাম নিয়ে বেশি বেশি লেখে। এসব না করে বাজার স্বাভাবিক রাখতে তিনি গণমাধ্যমের প্রতি আহ্বান জানান।
শীতেই পেঁয়াজের দাম কমে আসবে উল্লেখ করে তিনি বলেন, পেঁয়াজের ও চালের দাম ক্ষণস্থায়ী সময়ের জন্য বৃদ্ধি পেয়েছে এবং এ ব্যাপারে আমরা যতœবান ও সচেতন। শীতকাল, পেঁয়াজের সিজন, এখন (দাম) স্বাভাবিক হবে।
এবার ভারত ও বাংলাদেশে পেঁয়াজ উৎপাদন ভালো হয়নি জানিয়ে বাণিজ্যমন্ত্রী বলেন, ভারতের পেঁয়াজের থেকে আমাদের দেশের পেঁয়াজের দাম বেশি। আমার মনে হয় এখন সিজন আসছে, দাম স্বাভাবিক হয়ে যাবে।
মন্ত্রী বলেন, এবার আমাদের দেশে বিশেষ করে উত্তরবঙ্গ ও হাওড় অঞ্চলে অতিরিক্ত বন্যায় ধ্বংস স্তুপের সৃষ্টি হয়। এর ফলে চালের উৎপাদন কিছুটা কম হয়। এতে করে চালের বাজার বেড়ে যায়। চালের বাজার নিয়ন্ত্রণে আনতে সরকারের পক্ষ থেকে বিভিন্ন দেশ থেকে চাল আমদানির পাশাপাশি বেসরকারি পর্যায়ে চাল আমদানির শুল্ক ২৮ শতাংশ থেকে কমিয়ে মাত্র দুই শতাংশ নির্ধারণ করা হয়। এর ফলে ব্যবসায়ীরাও বেশি পরিমাণে চাল আমদানি শুরু করে।
কিন্তু হঠাৎ একটা ভূয়া খবর প্রকাশিত হয় যে ভারত চাল রফতানি বন্ধ করে দিয়েছে। এর ফলে বাজারে আবার অস্থিরতা দেখা দেয়। তারপর সরকারের বিভিন্ন তৎপরতায় চালের বাজার নিয়ন্ত্রণে আসে।
বাজারে বিভিন্ন পণ্যের দাম বাড়লেও মানুষের ক্রয়ক্ষমতা বাড়ার কথাও বলেন বাণিজ্যমন্ত্রী।
তিনি আরো বলেন, মানুষের ক্রয় ক্ষমতা বৃদ্ধি পেয়েছে। চেইনশপে এক দামেই সবাই জিনিস কিনছে। জিনিসের কিন্তু কোনো অভাব দেখি না, টাকা দিলেই পাওয়া যায়।
টিসিবির মাধ্যমে বিভিন্ন নিত্যপণ্য আমদানি করলে সরকারকে লোকসান গুণতে হয় বলে জানান তিনি।
টিসিবির মাধ্যমে যখনই আমরা ইমপোর্ট করি তখনই আমরা প্রচুর লস দেই। ১৬ কোটি লোকের দেশে টিসিবি চাল, ডাল, পেঁয়াজ, রসুন সাপ্লাই দেয়া সম্ভব না। আপৎকালীন টিসিবি দিয়ে পণ্য আমদানি করি। আর টিসিবির সেরকম সক্ষমতা নেই।
বিএনপির চেয়ারপারসন বেগম খালেদা জিয়ার পক্ষ থেকে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনাকে উকিল নোটিশ পাঠানো বিষয়ে তিনি বলেন, এটার ফলে খালেদা জিয়ার ক্ষতি হয়েছে। এটা মোকাবেলার কিছু নেই।
Site Developed By: Md. Shohag Hossain