নভেম্বর ১৫, ২০১৭,১২:৪২ পূর্বাহ্ণ
২০০৭ সালের ১৫ নভেম্বর সুপার সাইক্লোন সিডরের আঘাতে লন্ডলন্ড হয়ে যায় উপকূলীয় জেলা ঝালকাঠির রাজাপুর। সিডরের ১০ বছরে উপজেলাবাসী ঘুরে দাড়ালেও বিভিন্ন স্থানে রয়ে গেছে নানা ক্ষত। সেই ক্ষত আর আতঙ্ক এখন তাড়া করে মানুষকে। ঘুর্ণিঝর কিম্বা বন্যার সতর্ক বার্তা পেলেই আতঙ্কিত হয়ে পরে বিষখালী বেস্টিত বড়ইয়া ও মঠবাগি ইউনিয়নটির প্রায় অর্ধশত মানুষ। বিষখালির নদীর সেই বিধ্বস্ত বেড়িবাধ আজও সংস্থার হয়নি। বেরিবাধ না থাকায় স্বাভাবিক জোয়ারের চেয়ে বেশি পানি হলেই বাড়িঘর ও দোকানপাট প্লাবিত হয়ে যায়। এখনও নির্মান হয়নি পর্যাপ্ত আশ্রয় কেন্দ্র বা সাইক্লোন সেল্টার। জোরে বাতাস শুরু হলে আশ্রয়ের সন্ধানে ছুটে বেড়ায় এখানকার মানুষ। ২৪০ কিলোমিটার বেগে বয়ে যাওয়া ঘুর্ণিঝড় এবং ১০ফুট উচু জলোচ্ছাসে সবচেয়ে বেশি ক্ষতিগ্রস্থ হয়েছিল বিষখালী নদী বেষ্টিত এ ইউনিয়ন দুটি। এখানকার মানুষদের নিরাপত্তায় সিডরের ১০ বছর পরেও তেমন কোন উদ্যোগ নেয়া হয়নি। বেড়িবাধ না থাকায় স্বাভাবিক জোয়ারের চেয়ে বেশি পানি হলেই তলিয়ে যায় বাড়ি-ঘর ও ব্যবসা প্রতিষ্ঠান। ক্ষতিগ্রস্থরা জানান, প্রাকৃতিক দুর্যোগে এলাকাবাসী তাদের বসতঘর ও ছেলেমেয়ে ও সম্পত্তি নিয়ে চরম হতাশার মধ্যে রয়েছে। বেড়িবাধ আর আশ্রয় কেন্দ্রের দাবি বহু দিনের, বহু মহলে ধর্ণা দিয়েও কোন কাজ হয়নি। সিডরের আঘাতে এ জেলায় মারা যায় ৪৭ জন, আহত হয় ১২ হাজার ২০৬ জন। ৭৪৩ দশমিক ৯৮ বর্গ কিলোমিটার এলাকার ঘরবাড়ী, গাছপালা, ক্ষেতের ফসল, গবাদি পশু, হাঁস-মুরগী, শিক্ষা প্রতিষ্ঠান, সড়ক, বাঁধ সবকিছুই লন্ড-ভন্ড হয়ে যায়। এক হাজার ৪৫৭ কিমি কাঁচা-পাকা সড়ক, ৬২ কিমি বাঁধ এবং ২০টি সেতু বিদ্ধস্ত হয়। সে ক্ষত আজও রয়েছে গেছে জেলার বিভিন্ন স্থানে।
Site Developed By: Md. Shohag Hossain