নভেম্বর ১৫, ২০১৭,১২:১৩ পূর্বাহ্ণ
মো রাজিব তালুকদার (০১৭৭৫৪০৩২৬৪) :আজ ১৩ নভেম্বর হাতিয়া গনহত্যা দিবস। ১৯৭১ সালের এই দিনে পাকিস্তানী হানাদার বাহিনী ও তাদের এ দেশীয় দোসর রাজাকার আল বদরের সহযোগিতায় ”মুক্তাঞ্চল” হাতিয়া ও বুড়াবুড়ি ইউনিয়নের ১৫টি গ্রামের ৭ শত নারী পুরুষ ও শিশুদের দাগারকুঠি বধ্যভুমিতে জড়ো করে পাখির মত গুলি করে ও বেনেট দিয়ে খুচিয়ে খুচিয়ে হত্যা করে। ধর্ষন করে শত শত নারীকে। ফিরে যাওয়ার সময় জ¦ালিয়ে দেয় গ্রামের পর গ্রাম।
ওই দিন পাক হানাদার বাহিনীর নির্যাতন ও নৃশংসতা প্রতিরোধ করতে গিয়ে শহীদ হন মুক্তিযোদ্ধা গোলজার হোসেন, নওয়াব আলী,আবুল কাশেম কাচুঁ,দেলওয়ার হোসেন,আবু বক্কর সিদ্দিক ও হিতেন্দ্র নাথ নামের ৬ মুক্তিযোদ্ধা।
সে দিন হানাদার বাহিনীর গুলিবিদ্ধ হয়ে বেচেঁ যাওয়া অনন্তপুর গ্রামের শহীদ পরিবারের বাবর আলী (৮৯) জানান,সেদিন ছিল ১৩ নভেম্বর, ২৩ রমজান। শেষ রাতের সেহেরীর ভাত খেয়ে মানুষ ঘুমিয়ে পড়ে। সেই ঘুমন্ত মানুষের উপর হানাদার বাহিনী বরবর হত্যাযজ্ঞ চালিয়ে ৭ শত মানুষ হত্যা করে। দেশ স্বাধীন হয়েছে ৪৭ বছর। কিন্তু শহীদদের স্বরনে একটি সৃস্তিস্তম্ভ নির্মান করা হয়েছে মাত্র। কিন্তু শহীদদের তালিকা ও শহীদ পরিবারের সহায়তা বা স্বীকৃতি দেয়া হয় নাই। এ সমস্থ শহীদ পরিবারের অনেকে ভিক্ষাবৃত্তি করে দিন যাপন করছে। তাছাড়া রংপুর বিভাগের বদ্ধভুমির তালিকায় হাতিয়া দাগারকুঠি বদ্ধভুমির নাম না থাকায় ক্ষোভ ও ঘৃনা প্রকাশ করেন।
হাতিয়া ইউনিয়ন চেয়ারম্যান বি এম আবুল হোসেন জানান,শহীদ পরিবারের তালিকা প্রনয়ন সহ তাদের স্বীকৃতি দাবী করেন বলেন এ পরিবার গুলোকে পুর্নবাসন করা প্রয়োজন।
এদিকে দিনটি পালনে দি বেষ্ট সামাজিক সংগঠন ও সু-শাসনের জন্য নাগরিক,সুজন উলিপুর শাখা সৃস্তিস্তম্ভে পুষ্পমাল্য অর্পন,র্যালী, আলোচনা সভা, মিলাদ মাহফিল,মুক্তিযুদ্ধ অলিম্পিয়ার্ড ও পুরুস্কার বিতরন সহ বিভিন্ন কর্মসূচি গ্রহন করেছে। অনুষ্ঠানে উপস্থিত থাকবেন সাবেক ডিআইজি ও সাব সেক্টর কমান্ডার মোঃ শফি উল্ল্যাহ।
Site Developed By: Md. Shohag Hossain