জানুয়ারি ২০, ২০১৭,৯:১৮ অপরাহ্ণ
স্টাফ রিপোর্টার : রাজধানীর কাঁচাবাজারগুলোতে শীতকালীন সবজির সরবরাহ পর্যাপ্ত থাকায় সবজির দাম গত সপ্তাহের মতো স্থিতিশীল রয়েছে। তবে ক্রেতা ও বিক্রেতারা বলছেন দাম বেড়েছে মুরগির। শুক্রবার রাজধানীর মোহাম্মাদপুর কৃষি মার্কেট, কারওয়ান বাজার, হাতিরপুল বাজারসহ কয়েকটি বাজার ঘুরে এমন তথ্য জানা যায়। রাজধানীর বাজারগুলোতে বেড়েছে ব্রয়লার মুরগির দাম। সপ্তাহের ব্যবধানে ব্রয়লার মুরগির দাম কেজিতে ১০-১৫ টাকা বেড়েছে। পাশাপাশি পাকিস্তানি মুরগির দামও প্রতিটিতে বেড়েছে ১৫-২০ টাকা। ব্রয়লার মুরগি কেজিপ্রতি ১৬০-১৭০ টাকায় বিক্রি হয়। গত সপ্তাহে যা বিক্রি হয়েছিল ১৫০-১৫৫ টাকা দরে। আবার মাঝারি সাইজের পাকিস্তানি মুরগি বিক্রি হয় ১৭৫ টাকা এবং বড় সাইজের মুরগি ২৫০-২৭০ টাকা দরে। যা গত সপ্তাহের তুলনায় দাম ঊর্ধ্বমুখী। এর কারণ জানতে চাইলে কারওয়ান বাজারের মুরগি ব্যবসায়ী জাফর বলেন, শীতে মুরগি মারা যাচ্ছে। ফলে মুরগির দর বাড়িয়েছে মুরগি পালনকারীরা। এদিকে, গত সপ্তাহের মতো সবজির দাম অপরিবর্তিত রয়েছে। প্রতিকেজি কাঁচা মরিচ ৪৫ টাকা, সাদা বেগুন বিক্রি হয় ৬০ টাকা, কালো বেগুন ৩৫ থেকে ৪৫ টাকায়, শিম প্রতিকেজি ২৫-৩০ টাকা। এ ছাড়া প্রতিকেজি ঝিঙা ৭৫ টাকা, করল্লা ৪৫ টাকা, শসা ৩০ টাকা, কচুরমুখী ৬০ টাকা ও আলু ২০ টাকা। প্রতিকেজি মুলা বিক্রি হয় ১৮ টাকা, চাল কুমড়া ১৫ টাকা। প্রতিটি ফুলকপি ৪০ টাকা, বাঁধাকপি ৩০ টাকা, লেবু প্রতি হালি ১৫ টাকা, আটি প্রতি পালং শাক ১৫ টাকা, লালশাক ১৫ টাকা, পুঁইশাক ২০ টাকা এবং লাউশাক ২০ টাকায় বিক্রি হয়। মোহাম্মাদপুর কৃষি মার্কেটে বাজার করতে আসা শাহ আলম নামে এক চাকরিজীবী জানান, এ শীতে সবজির সরবরাহ খারাপ ছিল না। তাই দাম খুব একটা বেশি হয়নি। পাশাপাশি বেশ কিছু দিন ধরে দাম স্থিতিশীল আছে। অন্যদিকে, মুদি পণ্যের দামেরও তেমন কোনো পরিবর্তন নেই। কেজিপ্রতি দেশি মসুর ডাল (দেশি) ১১০ টাকা, ভারতীয় মসুর ডাল ৯০ টাকা, মুগ ডাল (দেশি) ১০৫ টাকা, ভারতীয় মুগ ডাল ৯০ টাকা, মসকলাই ১২০ টাকা এবং ছোলা ৯০ টাকা দরে বিক্রি হয়। এ ছাড়া বোতলজাত সয়াবিন তেল প্রতি লিটার ৯৫ থেকে ১১০ টাকা এবং খোলা সয়াবিন তেল কেজি প্রতি ৮০-৯০ টাকায় বিক্রি হয়। মাছের বাজার ঘুরে দেখা যায়, আকার ভেদে প্রতিকেজি কাতলা মাছ ৩৭০ টাকা থেকে ৪০০ টাকা, রুই মাছ ২৭০ টাকা থেকে ৩৫০ টাকা, সরপুঁটি ৩০০ টাকা থেকে ৪৫০ টাকা, তেলাপিয়া ১৪০ থেকে ১৭০ টাকা, সিলভার কার্প ১৫০ টাকা থেকে ২০০ টাকা দরে বিক্রি হয়। আবার ইলিশ কেজিপ্রতি (মাঝারি) ১২০০ টাকা এবং দেড় কেজি ওজনের প্রতিটি বিক্রি হয় ২০০০ টাকা থেকে ২৩০০ টাকা। এদিকে, সব ধরনের চালে প্রতি কেজিতে ১ থেকে ২ টাকা করে বেড়েছে। মিনিকেট চাল ৫৩ টাকা, মিনিকেট নরমল ৫০ টাকা, বিআর আটাশ চাল মান ভেদে ৪৩ থেকে ৪৫ টাকা, কাটারিভোগ চাল ৭৫-৭৭ টাকা দরে বিক্রি হয়।
Site Developed By: Md. Shohag Hossain