জুন ১৩, ২০২০,৫:৫৬ অপরাহ্ণ
বিডি নিউজ টিভি ২৪ ডট কম : নাইম খাঁন : প্রাণঘাতী করোনা ভাইরাসের সংক্রমণে কঠিন সময়ের মুখোমুখি দেশের বিভিন্ন শ্রেণী-পেশার মানুষ। ডাক্তার, স্বাস্থ্যকর্মী, পুলিশ ,সেনাবাহিনী ও অন্যান্য পেশাজীবিদের মতো গণপুর্ত অধিদপ্তরের প্রকৌশলীরাও জীবনের ঝুঁকি নিয়ে করোনা মোকাবিলায় কাজ করছেন ।
করোনা ভাইরাসের সংক্রমণ ঠেকাতে সাধারণ ছুটিকালীন সময়েও চ্যালেঞ্জ নিয়ে কোয়ারেন্টাইন সেন্টার ও আইসোলেশন ইউনিট নির্মাণের কাজ করতে হচ্ছে গণপূর্তকে। গণপূর্ত অধিদপ্তরের প্রধান প্রকৌশলী মো.আশরাফুল আলম এবং সংশ্লিষ্ট অন্যান্য প্রকৌশলী ও কর্মকর্তারাও করোনার সাধারণ ছুটিকালীন সময়ে প্রায় প্রতিদিনই অফিস ও সাইট পরিদর্শন করেছেন। দিয়েছেন সময়োপযোগী দিকনির্দেশনা ও করোনামুক্ত থেকে কর্মকর্তা ও কর্মচারীদের বিভিন্ন সরকারী হাসপাতালে পিসিআর ল্যাব, করোনা ইউনিট, আসলেশন ইউনিট ইত্যাদি প্রতিষ্ঠাসহ সার্বক্ষনিক বিদ্যুৎ, পানি সরবরাহ ব্যবস্থা নিশ্চিতকরণের কৌশলসমূহ।
তারা নিয়মিত ভিডিও কনফারেন্সের মাধ্যমে প্রতিটি কাজের খোঁজখবর নেওয়া ছাড়াও ডিজিটাল মাধ্যম ব্যবহার করে মাঠ পর্যায়ের কর্মকর্তা কর্মচারীদের স্বাস্থ্য রক্ষার বিষয়েও দিয়েছেন দিক নির্দেশনা।যার ফলে সুচারুরুপে সমাপ্ত করা হয়েছে ঢাকা মেডিকেল, সলিমুল্লাহ,সোহরাওয়ার্দি,কুয়েত মৈত্রী,মুগদা,নারায়ণগঞ্জ ৩০০ বেডসহ সারা বাংলাদেশের সকল সরকারী হাসপাতালে করোনা চিকিৎসায় প্রয়োজনীয় অবকাঠামো সুবিধা।
ঢাকা মিল ব্যারাক পুলিশ লাইনের আইশোলেশন ইউনিটের কাজও এই সময়ের মধ্যে শেষ করেছেন গণপুর্ত অধিদপ্তর।গত ৯ জুন (২০২০) পুলিশ সুপার, ঢাকা জেলা পুলিশ গণপুর্ত অধিদপ্তরকে এক ধন্যবাদ বার্তায় জানান,এই দুর্যোগকালীন সময়ে গনপূর্ত বিভাগ-৩, ঢাকা নির্মাণাধীন নারী পুলিশ ব্যারাকে ১ তলা থেকে ৪র্থ তলায় আলাদা আলাদা সর্বমোট ৫৯টি আইসোলেশন ইউনিট স্বল্পসময়ে প্রস্তুত করেছেন । এই কঠিন সময়ে আপনাদের সার্বক্ষণিক সহযোগিতার জন্য গনপূর্ত বিভাগ ৩, ঢাকা তথা গণপূর্ত অধিদপ্তরকে ঢাকা পুলিশের পক্ষ হতে ধন্যবাদ ও কৃতজ্ঞতা জ্ঞাপন করছি।
এই প্রকল্পেরটির সাথে সংশ্লিষ্ট নির্বাহী প্রকৌশলী মো.মাজহারুল ইসলাম জানান, সরকার ঘোষিত সাধারণ ছুটি চলাকালীন সময়েও গণপূর্ত অধিদপ্তরের প্রধান প্রকৌশলীর দিক নির্দেশনা মোতাবেক প্রায় প্রতিদিন অফিস এবং সাইট পরিদর্শন করেছেন এবং প্রতিকূল পরিবেশে পুলিশ বাহিনীর জন্য আইসোলেশন ইউনিট নির্মাণ করেছেন।ঈদের দিনসহ পুরো ছুটিতেই অবকাঠামো নির্মাণ চলমান ছিল।
জানা গেছে, একই সঙ্গে গণপুর্ত অধিদপ্তরের করোনা ও ডেঙ্গু প্রতিরোধে মন্ত্রী, এমপিসহ সব ভিআইপি এবং সরকারি বাসভবন ও বিভিন্ন ভবনে জীবানুনাশক ছিটানোসহ পরিস্কার – পরিচ্ছন্নতার কাজও একই সময়ে চলমান রয়েছে। এছাড়া মহামারী করোনার প্রাদুভার্বের মধ্যে দেশের হতদরিদ্র মানুষের সাহায্য ও ভাইরাসে আক্রান্ত রোগী ও স্বজনদের পাশে এসে দাঁড়িয়েছেন প্রকৌশলীরা। মানবিক আহবানে সাড়া দিয়ে প্রতিষ্ঠানটির প্রধান প্রকৌশলীসহ বিভিন্ন প্রকৌশলীরা তাদের বৈশাখী ভাতার ৫০ শতাংশ মানবতার সেবার প্রধানমন্ত্রীর ত্রাণ তহবিলে প্রদান করেছেন। গণপুর্ত অধিদপ্তরের প্রধান প্রকৌশলী বলেন, করোনার বিরুদ্ধে এই যুদ্ধে চিকিৎসক নার্সরা হচ্ছেন সম্মুখ যোদ্ধা এবং আমরা সহযোদ্ধা। প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার নেতৃত্বে এই যুদ্ধে আমরা জয়ী হবো ইনশাল্লাহ। |
Site Developed By: Md. Shohag Hossain