নারায়ণগঞ্জ জেলার সিদ্ধিরগঞ্জ থানাধীন সানারপাড় এলাকায় গত ২৫ শে অক্টোবর ২০১৮ইং খ্রঃ রহমান মিয়ার ভাড়াটিয়া মৃত লায়লা বেগম (৩০) পরিকল্পিত ভাবে তাঁর ভাড়া বাসায় প্রবেশ করে জোরপূর্বক একাধিকবার ধর্ষণ করে আশরাফুল আলম (৩৬) ধর্ষণের পড়ে বালিশ চাপা দিয়ে শ্বাসরুদ্ধ করে হত্যা করে।
পরবর্তীতে মৃত লায়লা বেগমের ছোট ভাই এবং ছোট ভাইয়ের স্ত্রী বাসায় এসে দেখতে পায়। মৃত লায়লা বেগম রুমের ভিতরে খাটের উপরে উলঙ্গ অবস্থায় মরে রয়েছে এবং তার মুখের উপর কোলবালিশ চাপা দেওয়া। নিহত লায়লা (৩০) শরিয়তপুর জেলার গোসাইর হাট থানার দক্ষিণ ছয়গাও এলাকার আলাউদ্দিন মাতব্বরের মেয়ে।
উক্ত ঘটনায় মৃত লায়লা বেগমের বড় ভাই মোঃ মশিউর রহমান বাদী হয়ে আসামি আশরাফুল আলমের বিরুদ্ধে ২৫-১০-২০১৮ ইং সিদ্ধিরগঞ্জ থানায় একটি হত্যা মামলা দায়ের করে যাহার নং- ৪৭(১০)১৮ ধারা – নারী এবং শিশু নির্যাতন দমন আইন, ২০০০ (সংশোধন ২০০৩) এর ৯(২) এবং নারী ও শিশু মামলা নং-৪১১/১৯।
গত ০৮ই ফেব্রুয়ারী ২০২৪ইং বৃহস্পতিবার নারায়ণগঞ্জ জেলার বিজ্ঞ নারী শিশু নির্যাতন দমন ট্রাইবুনাল আদলতের বিচারক নাজমুল হক শ্যামল অভিযুক্ত আসামিকে দোষী সাব্যস্ত করে মৃত্যুদণ্ড প্রদান করেন।
সেই ধারাবাহিকতায় র্যাব আসামীর তথ্য সংগ্রহ করে র্যাবের গোয়েন্দা দল গোপন তথ্যের মাধ্যমে আসামীর অবস্থান সনাক্ত করে ১১ই ফেব্রুয়ারী ২০২৪ইং আসামির নিজ বাড়ি থেকে র্যাব-১১ এবং র্যাব- ১৩ এর যৌথ অভিযানে আসামিকে গ্রেফতার করা হয়।
আসামি মোঃ আশরাফুল আলম (৩৬), পিতাঃ মৃত সোলেমান আলী, মাতাঃ খায়েরা বানু, সাং- মহিষখোচা, থানা- আদিতমারী, জেলা- লালমনিরহাট। এপি/সাং- সানারপাড় সাইফুলের বাড়ির ভাড়াটিয়া, থানা- সিদ্ধিরগঞ্জ জেলা- নারায়ণগঞ্জ`কে র্যাব-১১ এবং র্যাব- ১৩ এর যৌথ অভিযানে আসামিকে গ্রেফতার করা হয়।
নির্মম নিশংস হত্যাকাণ্ডে গ্রেফতার কৃত আসামি মোঃ আশরাফুল আলম এর পরবর্তী আইনানুগ কার্যক্রম প্রক্রিয়া দিন আছে বলে জানান র্যাব।