আগস্ট ২৯, ২০২০,৮:৫৬ অপরাহ্ণ
জামালপুর : জামালপুরে সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের মুক্তিযোদ্ধা কোটায় চাকরি পেতে নিজের স্ত্রী ও খালাতো বোনকে জালিয়াতি করে বোন বানিয়েছেন বলে অভিযোগ উঠেছে বকশীগঞ্জের মাদারের চর সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের এক শিক্ষকের বিরুদ্ধে।
মুক্তিযোদ্ধা কোটায় চাকরি পেয়ে আশরাফুলের স্ত্রী নাসরিন আক্তার এখন খেয়ার চর ও খালাতো বোন শাপলা আক্তার টুপকার চর সরকারি প্রথমিক বিদ্যালয়ে শিক্ষকতা করছেন।
খোঁজ নিয়ে জানা যায়, আশরাফুল, নাসরিন ও শাপলা ২০১৬ সালে সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ে সহকারী শিক্ষক পদে যোগ দেন। তিনজনই জন্মসনদসহ বিভিন্ন কাগজপত্রে বাবা হিসেবে মুক্তিযোদ্ধা সহিদুর রহমানের নাম উল্লেখ করেন। প্রত্যয়নপত্র ও জন্মসনদ নেওয়া হয়েছে মেরুর চর ইউনিয়ন পরিষদ থেকে।
ওই ইউনিয়ন পরিষদের তৎকালীন চেয়ারম্যান গোলাম মওলা বলেন, ‘মুক্তিযোদ্ধা সহিদুর রহমানকে আমি চিনি। কিন্তু তার কয় সন্তান তা আমার জানা ছিল না। এ সুযোগে আশরাফুল স্ত্রী ও খালাতো বোনকে নিজের বোন বানিয়ে আমার সাথে প্রতারণা করেছে।’
জালিয়াতির মাধ্যমে মুক্তিযোদ্ধা কোটায় চাকরি নেওয়া দুই স্কুলশিক্ষক নাসরিন আক্তার ও শাপলা আক্তারের বিরুদ্ধে উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তার (ইউএনও) কাছে লিখিত অভিযোগ দিয়েছেন উপজেলার নয়াপাড়া গ্রামের সরন মিয়া নামের এক ব্যক্তি।
তিনি জানান, “অভিযুক্ত আশরাফুল আলম জালিয়াতির মাধ্যমে নিজের স্ত্রী ও খালাতো বোনকে চাকরি পাইয়ে দেওয়ার পাশাপাশি চাকরি দেওয়ার কথা বলে আরও অনেকের কাছ থেকে টাকা নিয়েছে। ঘটনা জানাজানি হওয়ার পর এখন তিনি গাঁ ঢাকা দিয়েছে।”
বকশীগঞ্জের ইউএনও আ স ম জামশেদ খোন্দকার জানান, ‘অভিযোগটি পেয়েছি। ঘটনাটি তদন্ত করে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নেওয়া হবে।’
এ বিষয়ে মুক্তিযোদ্ধা কোটায় চাকরি হওয়া তার খালাতো বোন শাপলা আক্তার বলেন, ‘মুক্তিযোদ্ধা কোটায় তার চাকরি হয়েছে কি না, তা তিনি জানেন না। আশরাফুলই তার চাকরির ব্যবস্থা করেছেন। এ জন্য ১০ লাখ টাকা নিয়েছেন। আর নাসরিন আক্তারও তার বোন নয়, স্ত্রী।’
তিনি আরও বলেন, ‘তার বাবার নাম বেলাল মিয়া। মুক্তিযোদ্ধা সহিদুর রহমান আসলে তার খালু।’
জেলা প্রাথমিক শিক্ষা কর্মকর্তা আবদুর রাজ্জাক বলেন, ‘ওই তিনজন মুক্তিযোদ্ধা কোটায় চাকরি নিয়েছেন। ঘটনাটি এর আগেও একবার তদন্ত হয়েছিল। কিন্তু তার ফলাফল কী হয়েছে, তা তিনি জানেন না।’
Site Developed By: Md. Shohag Hossain