মে ২৮, ২০১৭,৩:২৬ অপরাহ্ণ
আন্তর্জাতিক ডেস্ক : ফিলিপাইনের দক্ষিণাঞ্চলীয় মারাউই নগরীতে ইসলামপন্থী জঙ্গিদের সঙ্গে নিরাপত্তা বাহিনীর সংঘর্ষে ১৯ বেসামরিক লোক নিহত হয়েছেন বলে রবিবার জানিয়েছে দেশটির সেনাবাহিনী। এই নিয়ে প্রায় এক সপ্তাহ ধরে চলা এই লড়াইয়ে অন্তত ৮৫ জন প্রাণ হারিয়েছে। এই লড়াইয়ে ১১ জন সেনা সদস্য নিহত হয়েছেন এবং হাজার হাজার মানুষ এলাকা ছেড়ে পালিয়ে যাচ্ছে।
চলমান এই সহিংসতার জেরে প্রেসিডেন্ট রদ্রিগো দুতার্তে মঙ্গলবার ফিলিপাইনের দক্ষিণাঞ্চলে সামরিক আইন জারি করেন। তিনি বলেন, জাতীয় নিরাপত্তার স্বার্থে তাকে এটা করতে হচ্ছে। তিনি জঙ্গিদের সঙ্গে ইসলামিক স্টেট (আইএস) জিহাদিদের সংশ্লিষ্টতার হুমকি রয়েছে বলেও জানিয়েছেন।
মারাউই থেকে ইসলামী জঙ্গিদের হঠাতে সেনাবাহিনী গত কিছুদিন ধরে লড়াই চালাচ্ছে। সেখানে নিহত ছয় জন ইসলামী জঙ্গীর মধ্যে ইন্দোনেশিয়া এবং মালয়েশিয়ার নাগরিকও আছে বলে দাবি করছে ফিলিপাইন।
ফিলিপাইনের সরকার এই লড়াইয়ে বিশেষ বাহিনী মোতায়েন করেছে। জঙ্গিদের দমনে সেখানে সেনাবাহিনী সামরিক হেলিকপ্টারও ব্যবহার করছে।
কর্তৃপক্ষ জানিয়েছে, জঙ্গিরা মারাউইতে ১৯ বেসামরিক লোককে হত্যা করেছে। দুই লাখ জনসংখ্যা অধ্যুষিত এলাকাটির অধিকাংশ বাসিন্দা মুসলিম। নিহতদের মধ্যে তিন নারী ও একটি শিশুও রয়েছে। একটি বিশ্ববিদ্যালয়ের কাছে এদের লাশ পাওয়া গেছে।
সেনাবাহিনীর আঞ্চলিক কমান্ডার লেফটেন্যান্ট কর্ণেল জো-আর হেরেরা বলেন, ‘এগুলো বেমাসরিক ও নারীদের লাশ। এই সন্ত্রাসীরা জনবিরোধী। শনিবার উদ্ধার অভিযানকালে আমরা এ লাশগুলো দেখতে পাই।’
স্থানীয় বাসিন্দারা এদেরকে রাইস মিল ও একটি মেডিকেল কলেজের কর্মী বলে সনাক্ত করেছেন।
হেরেরা বলেন, সেনাবাহিনী এই মৃত্যুগুলোর ব্যাপারে তদন্ত করবে।
নিরাপত্তা বাহিনীর সদস্যরা ফিলিপাইনের প্রবীণ জঙ্গি ইসনিলোন হাপিলোনকে স্থানীয় আইএস নেতা হিসেবে অভিযুক্ত করে গ্রেপ্তার করতে গেলে এই সংঘর্ষ শুরু হয়। এ সময় বেশ কয়েকজন বন্দুকধারী মারাউইজুড়ে তাণ্ডব শুরু করে।
বন্দুকধারীরা বিভিন্ন স্থানে কাল রঙের আইএস এর পতাকা উত্তোলন করে। তারা একটি চার্চ থেকে এক পাদ্রী ও ১৪ জনকে জিম্মি করে নিয়ে যায় এবং চার্চে আগুন ধরিয়ে।
Site Developed By: Md. Shohag Hossain