নারায়ণগঞ্জ জেলা সোনারগাঁয়ে সোনারগাঁ শাখার কৃষি ব্যাংক নতুন কৃষক খুঁজে ঋণ দিচ্ছে, পাশাপাশি প্রবাসী আয় সংগ্রহে মনোযোগ দিয়েছে।
বড় শিল্পে ঋণ দিয়ে খেলাপির জালে আটকা পড়েছিল রাষ্ট্রীয় মালিকানাধীন বাংলাদেশ কৃষি ব্যাংক (বিকেবি)। তবে এখন কৃষকদের ঋণ দিয়ে আবার মূল লক্ষ্যে ফিরে আসছে ব্যাংকি।আগে নেননি এমন কৃষক খুঁজে ঋণ দিচ্ছে ব্যাংটি।নতুন আমানত এবং প্রবাসি আয় সংগ্রহে জোর দিয়েছে।বিকেবি শিল্প খাতে ঋণ বিতরণ বন্ধ রেখে খেলাপি ঋণ আদায় কার্যকম জোরদার করেছে। এর ফলে কৃষি ব্যাংকের খেলাপি ঋণের হার কমে ইতিমধ্যে এক অঙ্কে অর্থাৎ ৯( নয়) শতাংশ নেমে এসেছে, যা পাঁচ বছর আগে ছিলো ২৮( আটাশ) শতাংশ। কৃষি ব্যাংকের বেশিরভাগ শাখাই গ্রামে। আর অধিকাংশ প্রবাসী এবং গ্রামের।সেজন্য ব্যাংকটি রেমিট্যান্স বা প্রবাসী আয় সংগ্রহে মনোযোগ দিয়েছে । ইতিমধ্যে মানিগ্রাম, ওয়েস্টার্ন ইউনিয়ন, রিয়া, এক্সপ্রেস মানি ট্রান্সফেক্টর মত বিদেশি এক্সচেঞ্জ হাউজগুলোর সঙ্গে সম্পর্ক জোরদার করেছে।সেজন্য অনেক প্রবাসী এখন বিদেশ থেকে রেমিট্যান্স বা প্রবাসী আয় পাঠাতে বিকেবিকে বেছে নিচ্ছে। গত ২০২১-২২ ইং অর্থ বছরে ব্যাংকির মাধ্যমে প্রবাসি আয় এসেছে ৩ হাজার ৫০৩ কোটি টাকা।২০১৬- ১৭ ইং অর্থ বছরে এসেছে ১ হাজার ৭ কোটি টাকার প্রবাসী আয়। ১ হাজার ৩৮ টি শাখার সব কটি ইতিমধ্যে অনলাইনের আওতায় আসাটাও প্রবাসী আয় বৃদ্ধির একটি বড় কারণ। এই ব্যাপারে নারায়ণগঞ্জ জেলা সোনারগাঁ শাখা কৃষি ব্যাংকের অ্যাসিস্ট্যান্ট জেনারেল ম্যানেজার হেড অফ ব্রাঞ্চ মোঃ হায়দার আলী জানতে চাইলে তিনি বলেন,সোনার শাখার কৃষি ব্যাংকে একটি সঠিক গন্তব্যে পৌঁছে দিতে আমরা কাজ করছি। আগে ঋণ নেননি এমন কৃষক খুঁজে ঋণ দিচ্ছি । আবার নতুন নতুন আমানতকারী পেয়েছি।যেসব ঋণ দীর্ঘদিন আদায় হয়নি তা আদায়ে সর্বাত্মক চেষ্টা করছি