অক্টোবর ৩০, ২০১৮,৯:১৮ পূর্বাহ্ণ
গত শুক্রবার থেকে পরবর্তী ৩ দিন নোয়াখালী বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ে ভর্তি পরীক্ষা।
বৃহস্পতিবার রাত থেকেই প্রায় ৭২ হাজার পরীক্ষার্থী ও তাদের সাথে অভিভাবক মিলে প্রায় লাখ খানেক বাড়তি মানুষের সমাগম ঘটেছে নোয়াখালীর মাইজদী সহরে।
কিন্তু ছোট্ট একটা জেলা শহরে এত মানুষের থাকা খাওয়ার পর্যাপ্ত সু ব্যবস্থাপনা কোথায়। হোটেল, মোটেল সব মিলে সর্বোচ্চ হাজার দুইয়েক গাদাগাদি করে থাকা যায়। বাকিরা কোথায় থাকবে, কোথায় খাবে, তা আসলেই চিন্তার কারণ। আর এই অবস্থার ফলে প্রতি বছর চরম ভোগান্তির শিকার হয় ভর্তিযুদ্ধে অবতীর্ণ পরীক্ষার্থীরা। দুর্নাম হয় নোয়াখালীবাসীর। এবার তাই স্থানীয় গণমাধ্যমকর্মী ও কয়েকটি সেচ্ছাসেবক সংগঠন পৌর কর্তৃপক্ষ ও উপজেলা পরিষদকে পরীক্ষার্থীদের জন্য কিছু করার অনুরোধ জানায়। কর্তৃপক্ষও তাতে ব্যাপক সাড়া দিয়ে শিক্ষার্থীদের সাহায্যে আন্তরিকতার হাত বাড়িয়ে দেয়। পরীক্ষার্থীদের থাকার জন্য পৌরসভা, জেলা ও সদর উপজেলার অডিটারিয়াম, স্কুল, কলেজ, মসজিদ ও সরকারি বড় স্থাপনায় বিশেষ ব্যবস্থা করা হয়েছে।নারীদের জন্যও করা হয়েছে আলাদা থাকার ব্যবস্থা। পরীক্ষা দিতে আগতদের ফ্রি খাবারের ব্যবস্থা করা হয়েছে স্থানীয় আওয়ামী লীগে, ছাত্রলীগের নেতৃবৃন্দের উদ্যেগে।মেনুতে আছে গরু ও মুরগির মাংসের বিরিয়ানী। পরীক্ষার্থীদের সুবিধার্তে প্যাকেটে করে খাবার পৌঁছে দেয়া হচ্ছে। স্বেচ্ছাসেবক হিসেবে কাজ করছে রেড ক্রিসেন্ট ও বিভিন্ন সংগঠনে ও ছাত্রলীগের শত শত কর্মী। বিশ্ববিদ্যালয় ছাত্রলীগের পক্ষ থেকে খোলা হয়েছে কয়েকটি মেডিকেল সেবা কেন্দ্র তথ্য কেন্দ্র, সাথে বিতরণ করা হয় দশহাজার পাণির বোতল। শহরের বিভিন্ন পয়েন্টে বানানো হয়েছে সহযোগিতার জন্য তথ্য কেন্দ্র পরীক্ষার্থীদের সুবিধার্থে রাস্তা যানজট মুক্ত রাখতে পুলিশের সাথে নামানো হয়েছে আলাদা সেচ্ছাসেবক বাহিনী। মোট ৩০ সেন্টারে পরীক্ষা নেয়া হবে। দূরের কেন্দ্রে সহজে পরীক্ষার্থীদের পৌঁছাতে বিশ্ববিদ্যালয়ের বাস, মোটর সাইকেল ও সিএনজি অটো রিকশা প্রস্তুত রাখা হয়েছে।
এই পুরো কর্মযজ্ঞের তদারকি করছে পৌর মেয়র ও উপজেলা চেয়ারম্যান। সবচেয়ে বড় কথা শহরবাসীও বিষয়টি বেশ আনন্দের সাথে নিয়েছে। এবার বেশ সুনাম কুড়িয়েছে নোয়াখালীবাসী।
Site Developed By: Md. Shohag Hossain