অক্টোবর ৩১, ২০২৪,১০:২১ পূর্বাহ্ণ
মঙ্গলবার (২৯ শে অক্টোবর) সংগঠনটির প্রচার সম্পাদক আব্দুল্লাহ আল মামুন সাকির সই করা এক বিবৃতিতে এই ঘোষণা দেওয়া হয়। এতে জাকসু সচলসহ ক্যাম্পাসে অংশগ্রহণমূলক রাজনীতির দাবি জানায় সংগঠনটি।
হারুনুর রশিদ রাফি বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রত্নতত্ত্ব বিভাগের ৪৬তম ব্যাচের (২০১৬-১৭ সেশন) শিক্ষার্থী। এছাড়া মুহিবুর রহমান মুহিব বাংলা বিভাগের ৪৭তম ব্যাচের (২০১৭-১৮ সেশন) শিক্ষার্থী।
যৌথ বিবৃতিতে নেতৃবৃন্দ বলেন, ৫এ আগস্টের ছাত্র-জনতার অভ্যুত্থানের স্পিরিট ধারণ করে বিশ্ববিদ্যালয় ক্যাম্পাসে গণতান্ত্রিক সংস্কৃতিতে সুস্থ ধারার রাজনীতিকে এগিয়ে নিতে ছাত্রশিবির সবসময় প্রস্তুত। আবাসিক হলগুলোতে কোনো ধরনের দখলদারত্ব, চাঁদাবাজি, মাদকের বিস্তার রোধে ছাত্রশিবির অঙ্গীকারবদ্ধ। বিশ্ববিদ্যালয় অঙ্গনে শিক্ষার সুষ্ঠু পরিবেশ আনা, গবেষণামুখী শিক্ষাব্যবস্থার বাস্তবায়ন, সুস্থ ধারার সংস্কৃতির বিকাশ এবং নারীদের জন্য নিরাপদ পরিবেশ নিশ্চিতে ছাত্রশিবির কাজ করে যাবে। ছাত্রশিবির চায় ছাত্র সংসদকেন্দ্রিক সুস্থ রাজনৈতিক পরিবেশ ফিরে আসুক।
তারা আরও বলেন, দীর্ঘদিন ধরে কিছু ব্যক্তি এবং গোষ্ঠী ছাত্রশিবিরকে আদর্শিক মোকাবেলা করতে ব্যর্থ হয়ে নিষিদ্ধের একটি বয়ান তৈরি করে এসেছে। আদতে এই বয়ানের কোনো সত্যতা নেই। ১৯৮৯ সালের ১৫ আগস্ট অনুষ্ঠিত সিন্ডিকেটের ১৪২তম সভায় শিবির নিষিদ্ধের প্রস্তাবনা আসলেও এমন কোনো সিদ্ধান্ত গৃহীত হয়নি। বরং সভার সিদ্ধান্ত ছিল ‘বিশ্ববিদ্যালয়ের আওতাবহির্ভূত বিধায় এ ব্যাপারে কোনো ব্যবস্থা গ্রহণ সম্ভব নয়’। কোনো মিথ্যা প্রোপাগান্ডা ছাত্রশিবিরকে নিষিদ্ধ ঘোষণা করতে পারে না। ক্যাম্পাসে ছাত্রশিবিরকে নিষিদ্ধ করা ও ট্যাগিং রাজনীতি মূলত ফ্যাসিবাদ কায়েমের সহায়ক শক্তি হিসেবেই কাজ করেছে।
নেতৃবৃন্দ বলেন, গত ১৫ বছরে ধরে আওয়ামী দুঃশাসনের কারণে রাজনীতির ধরণ পাল্টে গেছে। আমরা শিক্ষার্থীদের অধিকার আদায়ের রাজনীতি চাই। চব্বিশের শহীদদের আশা-আকাঙ্ক্ষার আলোকে চলমান রাষ্ট্র সংস্কারের অংশ হিসেবে রাজনৈতিক সংস্কার হোক। ছাত্ররাজনীতির এই যৌক্তিক সংস্কারে সবাইকে এগিয়ে আসার আহ্বান জানাচ্ছি।
বিবৃতিতে শুধু সভাপতি, সম্পাদক ও প্রচার সম্পাদকের নামই এসেছে।
Site Developed By: Md. Shohag Hossain