বাণিজ্য প্রতিমন্ত্রী আহসানুল ইসলাম টিটু এমপি বলেছেন, আমদানি-রপ্তানি বাণিজ্যটা গতিশীল করার জন্য ব্যাংকের রিজার্ভের যে ঘাটতি ছিল তা মেটানোর জন্য চায়না থেকে ৫ বিলিয়ন ডলারের একটি বাণিজ্য সহায়তা পাওয়া যাবে। এতে করে রপ্তানীকারকরা পণ্য আমদানি করতে সুবিধা পাবে। পর্যায়ক্রমে অন্যান্য দেশের সাথে আমদানি-রপ্তানি সহজকরণের জন্য চেষ্টা করছি। বাংলাদেশ অর্থনৈতিক চাপে রয়েছে। চাপ আর সংকট এক নয়। একটা দেশে তিন মাসের রিজার্ভ থাকলেই চলে। সেখানে আমাদের দেশে সাড়ে ৪ মাসের রিজার্ভ রয়েছে। চাপ কমাতে প্রবাসীরা যেন বেশি রেমিট্যান্স পাঠায় এবং রপ্তানী আয় এবং বিদেশী বিনিয়োগ বাড়ানো প্রয়োজন। আমাদের যারা প্রবাসী ভাইয়েরা আছেন তারা যদি বেশি করে রেমিট্যান্স পাঠান, রপ্তানি আয় যদি আরেকটু বাড়ে তাহলে আমরা অনেক এগিয়ে যাবো। সবচেয়ে বড় কথা বিদেশি বিনিয়োগ প্রয়োজন। আমাদের যে আমদানি রপ্তানির গ্যাপ রয়েছে, এই গ্যাপ ফুলফিল করার জন্য আমাদের বিদেশি সরাসরি বিনিয়োগ দরকার। আমারা অনেক দেশ থেকে প্রতিশ্রুতি পেয়েছি। তারা বিনিয়োগ করলে আমরা অনেকটা চাপ মুক্তভাবে কাজ করতে পারবো। শনিবার (১ লা জুন) বিকেলে টাঙ্গাইল শহরের শহীদ স্মৃতি পৌর উদ্যানে ১০ দিনব্যাপী বিসিক উদ্যোক্তা মেলার উদ্বোধনের আগে সাংবাদিকদের বিভিন্ন প্রশ্নের জবাবে প্রতিমন্ত্রী এই সব কথা বলেন। তিনি আরো বলেন, আমদানি রপ্তানী কিছুটা স্লট গতিতে চলছে। কিছু পণ্য আমরা আমদানি করাতে নিরুৎসাহিত করছি। ঈদে বাজার নিয়ন্ত্রণ রাখতে স্থানীয় প্রশাসনের মাধ্যমে বাজার মনিটরিং করা হচ্ছে। কেউ যদি অতিরিক্ত দাম নেয়ার চেষ্টা করে সেক্ষেত্রে প্রশাসন প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নিবে। গত রমজান থেকে ভোজ্য তেলের দাম সহনীয় পর্যায়ে আছে। যদিও ডলারের দাম বেড়েছে। তবুও আগামী কোরবানির ঈদ পর্যন্ত একই দামে সারাদেশে ভোজ্য তেল বিক্রি করা হচ্ছে। বিশ্বের ৯৩টি দেশের তুলনায় বাংলাদেশে আলুর দাম কম রয়েছে। বানিজ্য প্রতিমন্ত্রী বলেন, প্রধানমন্ত্রী দুটি বিষয়কে গুরুত্ব দিয়েছেন। একটি কর্মসংস্থান এবং আরেকটি কর্মমুখী শিক্ষা। তাই কর্মসংস্থানের জন্য কর্মমুখী শিক্ষা অত্যান্ত প্রয়োজন। আমাদের উন্নয়ন একটি চলমান প্রক্রিয়া। স্থানীয় উন্নয়নে ইউনিয়ন পরিষদের ভূমিকা অপরিসীম। যাতায়াত ব্যবস্থার পরিপূর্ণ উন্নয়ন ছাড়া শিল্প কলকারখানা গড়ে উঠা সম্ভব না। সড়কগুলোর উন্নয়ন কাজ সম্পন্ন হলে সেখানে বিনিয়োগকারীরা বিনিয়োগ করবে। গড়ে উঠবে শিল্প প্রতিষ্ঠান। সৃষ্টি হবে কর্মসংস্থানের। টাঙ্গাইল বিসিকের আয়োজনে ও জেলা প্রশাসনের তত্বাবধানে বিসিক উদ্যোক্তা মেলায় উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে সভাপতিত্ব করেন টাঙ্গাইলের জেলা প্রশাসক কায়ছারুল ইসলাম। এ সময় বক্তব্য রাখেন, টাঙ্গাইল সদর আসনের সংসদ সদস্য ছানোয়ার হোসেন, টাঙ্গাইলের পুলিশ সুপার সরকার মোহাম্মদ কায়সার, টাঙ্গাইলের অতিরিক্ত জেলা প্রশাসক (সার্বিক) জিয়াউল ইসলাম চৌধুরী, পৌরসভার মেয়র সিরাজুল হক আলমগীর, টাঙ্গাইল বিসিকের সহকারী মহাব্যবস্থাপক শাহনাজ বেগম, নাসিবের সভাপতি জাফর আহমেদ প্রমুখ। এর আগে বানিজ্য প্রতিমন্ত্রী “বিসিক উদ্যোক্তা মেলার বিভিন্ন স্টল পরিদর্শন করেন। মেলায় বিসিক উদ্যোক্তারা বিভিন্ন হস্ত শিল্পসহ প্রায় ৫৪টি স্টলে তাদের পণ্য নিয়ে অংশ নিয়েছেন। আগামী ১০ জুন “বিসিক উদ্যোক্তা মেলা শেষ হবে।