ফেব্রুয়ারি ১৩, ২০২১,৭:৪১ অপরাহ্ণ
অসহায় চাষীদের মুখে হাসি ফুটছে
নিজস্ব প্রতিবেদকঃ
সিরাজগঞ্জের উল্লাপাড়ায় ফুল চাষে হাসি ফুটেছে অসহায় ফুল চাষীদের মুখে। উপজেলা বড়হর ইউনিয়নের গুয়াগাঁতী এবং বড়হর গ্রামের প্রায় ২০-২৫ জন ফুল চাষ করে সাবলম্বী হয়েছে। এবারে পহেলা ফাল্গুন ‘ভালোবাসা দিবস’ ও ২১’শে ফেব্রুয়ারি বড় পরিসরে ফুল বিক্রির উদ্যোগ নিয়েছেন উপজেলার ফুল চাষিরা।
এবার আবহাওয়া অনুকূলে থাকায় ফুলের ফলন ভালো হয়েছে। বাজারে দাম ও বেশ ভালো। গোলাপ,গাঁদা,গন্ধরাজ,হাসনা হেনা,চাইনিছ গাঁদা,এ্যাংকার গাঁদা,পাতা বাহার,চেরী,কসমস,বেলী,টগর,বিদেশী গোলাপ,মোরগ জবা,মাছি গোলাপ, জিপসিসহ প্রায় ২০ প্রাজাতির বাহারি ফুলে ছেয়ে গেছে উল্লাপাড়া উপজেলার বেশ কয়েকটি গ্রাম।
চলতি মৌসুমে এ অঞ্চলে প্রায় ১১ হেক্টর জমিতে ফুল চাষ করা হয়েছে। সারা বছর বাজারে ফুলের সরবরাহ থাকলেও ফাল্গুন, ভালোবাসা দিবস এবং একুশে ফেব্রুয়ারী এলে সারাদেশে ফুলের চাহিদা বেড়ে যায় কয়েকগুণ।
সরেজমিনে দেখা যায় উপজেলার বড়হর ইনিয়নের বড়হর ও গুয়াগাঁতী গ্রামের ফুল চাষীরা তাদের বাগানে ফুলের পরিচর্যা করছেন। কথা হয় গুয়াগাঁতী গ্রামের বাবলু মিয়ার সাথে তিনি এবারে ৪০ শতক জায়গায় ফুলের চাষ করেছেন। খরচ হয়েছে ৪০ থেকে ৫০ হাজার টাকা। তার ধারনা তিনি ১ লাখ থেকে দেড় লাখ টাকার ফুল বিক্রি করবে। প্রতিবারের মত এবারো লাভের স্বপ্ন দেখছেন তিনি।
প্রতি বছর এ সময় ফুল শেষ হয়ে যায় কিন্তুু এবারে করোনার কারনে স্কুল,কলেজ বন্ধ থাকায় ফুলের চাহিদা কম। তাই সামনে বিশেষ দিনের অপেক্ষায় আছেন। একটি দেশি গাঁদা ফুল গাছ পাইকারী বিক্রি হয় ১০ টাকা,আর একটা ফুল পাইকারী সর্ব নিম্ন দাম ৫ টাকা, এবং সর্বোচ্চ দাম ৪০ টাকা। যা খুচরা বিক্রেতারা একটা গাছ বিক্রি করে ৩০ টাকা এবং সর্ব নিম্ন একটা ফুল ২০ টাকা এবং সর্বোচ্চ ১০০ টাকা পর্যন্ত খুচরা বিক্রি হয়ে থাকে। তিনি আরো বলেন,ফুল বিক্রি করার জন্য আমাদের বাজারে যেতে হয় না। পাইকাররা জমিতে এসে তাদের কাছ থেকে কিনে নিয়ে যায়। তাই ফুল চাষে আমরা অনেকটাই এখন স্বাবলম্বী।
এ বিষয়ে উপজেলা কৃষি কর্মকতা সুবর্ণা ইয়াসমিন বলেন,উপজেলায় মোট ৪৬ জন ফুল চাষী রয়েছে। বছরে একবার ফুল এবং চারা বিক্রি করে তারা জীবিকা নির্বাহ করে থাকে। প্রতি বছরে ১০ থেকে ১২ লাখ টাকার ফুল বিক্রি হয়ে থাকে। এবং তাদের দেখাদেখি এখন অনেকেই ফুল চাষে আগ্রহী হয়েছেন। উপজেলা কৃষি অফিস থেকে তাদেরকে নানা ধরনের পরামর্শ দেওয়া হয়।
Site Developed By: Md. Shohag Hossain