ডিসেম্বর ২৬, ২০১৭,১০:১৫ অপরাহ্ণ
বিডি নিউজ টিভি ২৪ ডট কম:মোঃ রিয়াদুল ইসলামঃঢাকা: অধস্তন বিচারকদের শৃঙ্খলা-বিধির মাধ্যমে বিচার বিভাগের স্বাধীনতা নষ্ট হয়নি বলে মন্তব্য করেছেন আইনমন্ত্রী অ্যাডভোকেট আনিসুল হক।
মঙ্গলবার বিচার প্রশাসন প্রশিক্ষণ ইনস্টিটিউটে (জেএটিআই) জেনারেল প্রসিকিউটর (জিপি) এবং পাবলিক প্রসিকিউটরদের (পিপি) প্রশিক্ষণ কর্মশালার উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে এ মন্তব্য করেন।
আইনমন্ত্রী বলেন, মাজদার হোসেন মামলার পর একটি শৃঙ্খলা-বিধির প্রয়োজন ছিল। বিচার বিভাগ স্বাধীন হওয়ার দিন থেকেই এর প্রয়োজন অনুভব হয়। কিন্তু কেউ এটা তৈরি করেনি। আইন মন্ত্রণালয় এটা করেছে।
আইনমন্ত্রী আরো বলেন, যতদূর সম্ভব যেই বেঞ্চ এটা শুনানি করেছিল, সে বেঞ্চই এটার শুনানি করবে। সে ক্ষেত্রে আমার মনে হয় না যে নতুন করে অ্যাপয়েনমেন্ট নেওয়ার প্রয়োজন আছে এ মামলার এই রিভিউ পিটিশন শুনানি করার জন্য।
তবে এর আগে রিভিউ আবেদন দায়ের করে অ্যাটর্নি জেনারেল মাহবুবে আলম বলেছিলেন, মামলাটির শুনানিতে ৭ জন বা তার বেশি বিচারক প্রয়োজন হবে।
এ ছাড়া নিম্ন আদালতের বিচারকদের শৃঙ্খলাবিধির মাধ্যমে অধস্তন আদালত অধীনে নিয়ে সরকার উচ্চ আদালতও অধীনে নেয়ার উদ্দেশ্যে ষোড়শ সংশোধনীর রিভিউর আবেদন করেছে বলে সুপ্রিমকোর্ট আইনজীবী সমিতির করা অভিযোগ নাকচ করে দেন আইনমন্ত্রী।
এ প্রসঙ্গে বিএনপির সমালোচনার জবাবে আইনমন্ত্রী বলেন, উনারা তো পকেটে নিয়ে রেখেছিলেন। সেটার থেকে আস্তে আস্তে আমরা বের করে আজকে বিচার বিভাগকে একটা মর্যাদার আসনে বসাচ্ছি। সে জন্যই উনাদের এত গাত্রদাহ।
গত ১ আগস্ট বিচারপতিদের অপসারণ-সংক্রান্ত সংবিধানের ষোড়শ সংশোধনী অবৈধ ঘোষণা করে দেওয়া হাইকোর্টের রায় বহাল রেখে আপিল বিভাগের পূর্ণাঙ্গ রায় প্রকাশিত হয়।
এর আগে ৩ জুলাই বিচারপতিদের অপসারণের ক্ষমতা সংসদের হাতে আনা সংবিধানের ষোড়শ সংশোধনীকে অবৈধ ও বাতিল ঘোষণা করে দেয়া হাইকোর্টের রায় বহাল রাখেন আপিল বিভাগ।
সংবিধানের ৯৬ অনুচ্ছেদের সংশোধনীতে, যা ষোড়শ সংশোধনী নামে পরিচিত, সুপ্রিমকোর্টের বিচারকদের অপসারণের ক্ষমতা সংসদের কাছে ন্যস্ত করা হয়। এর আগে এ ক্ষমতা সুপ্রিম জুডিশিয়াল কাউন্সিলে ছিল।
Site Developed By: Md. Shohag Hossain