আগস্ট ১৯, ২০১৭,১:৩৯ অপরাহ্ণ
চাঁদপুর প্রতিনিধি : চাঁদপুরের হাজীগঞ্জে এক লম্পট মামার বিরুদ্ধে চতুর্থ শ্রেনীতে পড়ুয়া শিশু ভাগনিকে (১০) কে ধর্ষণের অভিযোগে আটক করা হয়েছে । গত ১৭ আগস্ট বৃহস্পতিবার ধর্ষিতর মা রাজিয়া সুলতানা বাদী হয়ে হাজীগঞ্জ থানায় মামলা (নং-১৬) দায়ের করেন। ঐ রাতেই মামলার একমাত্র আসামী মেহরাজ হোসেনকে (২২) আটক করে পুলিশ। সে উপজেলার ৫নং সদর ইউনিয়নের সুদিয়া গ্রামের সৌদি প্রবাসি আবদুল লতিফের ছেলে। মেহরাজ মামলার বাদী রাজিয়া বেগমের সর্ম্পকে মামাতো ভাই।
ঘটনার বিবরণে জানাযায়, উপজেলার সদর ইউনিয়নের সুদিয়া সরকারী প্রাথমিক বিদ্যালয়ের ৪র্থ শ্রেণির ছাত্রী গত ৯ আগস্ট সন্ধ্যায় তার মামা মেহরাজের কাছে পড়তে তাদের বসত ঘরে যায়। ঘরে কেউ না থাকায় মেহরাজ শিশুটিকে ভয়ভীতি প্রদর্শন করে ধর্ষণ করে। এ ঘটনা ধর্ষিতা শিশুটি তার মা কে জানায়। শিশুটির মা ধর্ষককে বিষয়টি জিজ্ঞাসা করলে, সে ঘটনার সত্যতা স্বীকার করে এবং এই ঘটনা কাউকে না জানাতে হুমকি-ধমকি ও ভয়ভীতি প্রদর্শন করে।
এ বিষয়ে মামলার বাদী রাজিয়া সুলতানা জানান, ১ বছর পূর্বে আমার স্বামীর সাথে ডিভোর্স হয়ে যায়। আমি জীবিকার তাগিদে ঢাকায় চাকুরি করি। আমার মেয়ে আমার বাপের বাড়িতে তার নানির সাথে (আমার মায়ের সাথে) থাকে এবং এখানেই পড়ালেখা করে। তিনি আরো জানান, মেহরাজ সর্ম্পকে আমার মামাতো ভাই। তার কাছে আমার মেয়ে পড়ালেখা করে। গত ৯ আগষ্ট পড়তে গেলে মেহরাজ আমার মেয়েকে ভয়ভীতি দেখিয়ে জোরপূর্বক ধর্ষণ করে। আমি ১২ আগষ্ট ঢাকা থেকে বাড়িতে আসলে আমার মেয়ে বিষয়টি আমাকে জানায়। মেহরাজ ইতিপূর্বেও আমার মেয়েকে ভয়ভীতি প্রদর্শন করিয়া বেশ-কয়েকবার ধর্ষণ করেছে।
এ ঘটনায় হাজীগঞ্জ থানার অফিসার ইনচার্জ মোহাং জাবেদুল ইসলাম বলেন, মামলার হওয়ার পর পরই মামলার তদন্তকারী কর্মকর্তা এস আই আবদুল মান্নান আসামীকে আটক করেছে। ভিকটিমকে মেডিকেল রিপোর্টের জন্য চাঁদপুর সদর হাসপাতালে প্রেরণ করা হয়েছে।
Site Developed By: Md. Shohag Hossain