আগস্ট ২৭, ২০১৫,৮:৪৮ অপরাহ্ণ
বাগেরহাটের মোড়েলগঞ্জ উপজেলা শিক্ষা অফিসে দুর্নীতি জেকে বসেছে। পদেপদে টাকা, অনিয়ম আর হয়রানীই চলছে এখানে। বর্তমান শিক্ষা অফিসার মো. মাসুম বিল্লাহ যোগদানের পরে অর্থনৈতিক দুর্নীতি প্রকাশ্য রূপ নিয়েছে। মাত্র দুই বছরে এই শিক্ষা অফিসার কমপক্ষে কোটি টাকা হাতিয়ে নিয়েছেন বলে অভিযোগ উঠেছে। উপজেলা মুক্তিযোদ্ধা কমান্ডার ও ডেপুটি কমান্ডার লিখিতভাবে এমন অভিযোগ দায়ের করেছেন শিক্ষা সচিব, মহাপরিচালকসহ বিভিন্ন দপ্তরে। গতকাল বৃহস্পতিবার মুক্তিযোদ্ধা সংসদে ওই অভিযোগের বিষয়ে প্রেস ব্রিফিং করেছেন মুক্তিযোদ্ধা কমান্ডার মো. লিয়াকত আলী খান ও ডেপুটি কমান্ডার আকরামুজ্জামান।
প্রেস ব্রিফিংয়ে লিখিত অভিযোগের কপি সাংবাদিকদের হাতে তুলে দেন মুক্তিযোদ্ধা কমান্ডার। ওই অভিযোগে বলা হয়েছে, শিক্ষা অফিসার মাসুম বিল্লাহ ২০১৫ সালে পরিকল্পিতভাবে শিক্ষক বদলী করে ২০লাখ টাকা হাতিয়ে নিয়েছেন।
২০১৩-১৪ অর্থ বছরে ২৯৯টি বিদ্যালয়ে ভ্যাট বাদে ১৪ হাজার ৪শ’ টাকা করে স্লিপ বরাদ্দ আসে। ওই টাকা থেকে ৭ হাজার টাকা নিয়ে মাত্র ১২শ’ টাকার উপকরণ ধরিয়ে দেওয়া হয় শিক্ষকদেরকে।
দ্বিতীয় ও তৃতীয় ধাপে ৯৮টি বিদ্যালয়ে দপ্তরী কাম নৈশ প্রহরী নিয়োগে প্রতিটিতে ৪ থেকে ৬ লাখ টাকা পর্যন্ত ঘুষ হিসেবে নিয়েছেন।
ক্ষুদ্র মেরামতের তালিকায় থাকা ১৬০টি বিদ্যালয়ের প্রতিটি থেকে ৪ হাজার থেকে ৬ হাজার পর্যন্ত উৎকোচ নিয়েছেন শিক্ষা অফিসার মাসুম বিল্লাহ। ফলে অধিকাংশ বিদ্যালয়ে মেরামতের কোন কাজ হয়নি বলে অভিযোগে উল্লেখ করা হয়েছে।
অভিযোগে আরো বলা হয়েছে যে, ২০১৪-১৫ অর্থ বছরে ৩০২টি বিদ্যালয়ে স্লিপ বরাদ্দের ১৫ হাজার টাকা হতে ভ্যাট দেওয়ার কথা বলে ১৭শ’ ৫০টাকা থেকে ২৫শ’ টাকা পর্যন্ত কেড়ে নিয়েছেন শিক্ষা অফিসার।
গেল ২য় সাময়ীক পরীক্ষার প্রশ্নপত্র বাড়তি দামে বিক্রি করে লক্ষাধীক টাকা হাতিয়ে নিয়েছেন তিনি। এ ছাড়া আরো অনেক অভিযোগ রয়েছে তার বিরুদ্ধে।
এইসব অভিযোগের সরেজমিন তদন্তপূর্বক আইনগত ব্যবস্থা গ্রহনের দাবী জানিয়েছেন মুক্তিযোদ্ধা কমান্ডার মো. লিয়াকত আলী খান। এ বিষয়ে উপজেলা শিক্ষা অফিসার মো. মাসুম বিল্লাহ বলেন, ‘আমার বিরুদ্ধে আনীত অভিযোগ সম্পর্কে আমি অবগত নই’। তবে সংশ্লিষ্ট বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষকগন এ বিষয়ে কিছু বলতে রাজী হননি।
Site Developed By: Md. Shohag Hossain